প্রশাসন সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বিকেলে মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে হড়পা বানে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে উপত্যকার ওই প্রত্যন্ত এলাকা। উদ্ধারকাজ জারি থাকলেও মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় প্রশাসন। এখনও পর্যন্ত মোট ১৬৭ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আরও পড়ুন: ভয়াবহ কাণ্ড কাশ্মীরে! মেঘভাঙা বৃষ্টিতে মৃত্যুমিছিল, এখনই মৃত্যু ১২ জনের!আরও মৃত্যুর আশঙ্কা
advertisement
বৃহস্পতিবার, বেলা ১২টা নাগাদ চোসিটি এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে। প্রসঙ্গত ওই এলাকাতেই রয়েছে পবিত্র মাচাইল মাতা মন্দির। এবং ওই এলাকাই শেষ যান চলাচল যোগ্য রাস্তা। সেখানেই এই হড়পা বানের ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: ‘রক্ত ও জল একসঙ্গে বইতে পারে না’ ১৫ অগাস্ট সিন্ধুর জলচুক্তি নিয়ে বড় ঘোষণা মোদির!
ইতিমধ্যেই এই উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে সেনাবাহিনীও। এই প্রসঙ্গে কিশতওয়াড় এলাকার ডেপুটি কমিশনার পঙ্কজ কুমার শর্মা জানিয়েছেন জাতীয় এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী একইসঙ্গে উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে। এছাড়াও, সেনা, স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক-সহ আরও বহু মানুষ উদ্ধারকাজে এগিয়ে এসেছেন।
এই প্রসঙ্গে ডেপুটি কমিশনার বলেন, “ইতিমধ্যেই বড় ধরনের একটি উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। গোটা এলাকাজুড়েই উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে।”
এই বিপর্যয়ের ফলে স্বাধীনতা দিবসের চা চক্র এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানান জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ।
এই প্রসঙ্গে তিনি নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেল এক্সে লেখেন, “কিশ্তওয়াড়ে যে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে তার ফলে এই আমরা এই অনুষ্ঠান বন্ধ রাখছি।”
এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “কিশ্তওয়াড়ে মেঘভাঙা বৃষ্টি এবং হড়পা বানে বিধ্বস্ত মানুষদের জন্য আমি প্রার্থনা করছি। এই ঘটনার উপর আমরা লক্ষ্য রাখছি। যে কোনও সাহায্যের জন্য আমরা সবসময় প্রস্তুত রয়েছি।”