মহারাষ্ট্রের জলগাঁওয়ের রুদ্ধশ্বাস এই ঘটনার ভিডিও আপাতত ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা দেখে শিউরে উঠছেন নেটিজেনরাও। জানা গিয়েছে যে, ওই ঘটনায় অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলা। শুধু তা-ই নয়, এই ঘটনায় হতাহতেরও কোনও খবর পাওয়া যায়নি। কিন্তু কীভাবে ঘটল এই ঘটনাটি? এনডিটিভি প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে যে, গত ১৩ নভেম্বর অর্থাৎ বুধবার ঘটেছে এই ভয়ঙ্কর ঘটনাটি। প্রাথমিক ভাবে সন্দেহ করা হচ্ছে যে, অ্যাম্বুল্যান্সে থাকা অক্সিজেন সিলিন্ডারে বিস্ফোরণ হয়েই এহেন ঘটনা ঘটে গিয়েছে।
advertisement
একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলের তরফে পোস্ট করা হয়েছে যে, অ্যাম্বুলেন্সে চাপিয়ে হাসপাতালে নিয়ে হয়েছিল অন্তঃসত্ত্বা ওই মহিলাকে। সেই সময় ইঞ্জিন থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখেছিলেন অ্যাম্বুল্যান্সের চালক। এরপরেই তৎপর হন তিনি। তড়িঘড়ি অ্যাম্বুল্যান্স থেকে নেমে অন্তঃসত্ত্বা মহিলা আর তাঁর পরিবারের সদস্যদের নেমে আসতে বলেন চালক। এরপরে তাঁরা একটি নিরাপদ দূরত্বে সরে যান। ফলে অল্পের জন্য এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছেন প্রসূতি ও তাঁর পরিবার।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে, আসলে অন্তঃসত্ত্বা মহিলা এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের চাপিয়ে এরানডোল সরকারি হাসপাতাল থেকে জলগাঁও জেলা হাসপাতালের উদ্দেশ্যে ছুটছিল অ্যাম্বুল্যান্সটি। আর তখনই দাদা ওয়াড়ি এলাকার জাতীয় সড়কের একটি উড়ালপুলের উপর দিয়ে যাওয়ার সময়েই অ্যাম্বুল্যান্সের ইঞ্জিনে আচমকাই আগুন ধরে যায়। তারপরে সেখান থেকে সকলে নেমে যাওয়ার পরেই কয়েক মিনিটের মধ্যে ওই আগুনের জেরে অ্যাম্বুল্যান্সে থাকা অক্সিজেন সিলিন্ডারটি সশব্দে ফেটে যায়। গোটা ঘটনাটি ধরা পড়েছে ক্যামেরায়।
আর এক্স প্ল্যাটফর্মে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে যে, আগুন ধরে গিয়েছে অ্যাম্বুল্যান্সে। আর দাউদাউ করে আগুন জ্বলার সময় আচমকাই ঘটে যায় তীব্র বিস্ফোরণ। যার জেরে কয়েক ফুট উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছিল বিস্ফোরণের আগুনের সেই লেলিহান শিখা। আর বিস্ফোরণের অভিঘাত এতটাই জোরালো ছিল যে, আশপাশের বাড়ির কাচ পর্যন্ত ভেঙে গিয়েছে।