মেয়েটির মা যখন তাকে পরীক্ষার জন্য নিয়ে যান, তখন জানা যায় যে সে দুই মাসের গর্ভবতী। এরপর তার মা তাকে গর্ভপাত করতে বললে মেয়েটি অভিযুক্ত ছেলেটির সঙ্গে দিল্লি পালিয়ে যায়। পরে দুজনকে কোনও ভাবে হলদ্বানিতে ডেকে আনা হয়। সেখানে পৌঁছানোর পরই পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। সঞ্জয় পাল নামে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং পক্সো আইনের অধীনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: চলন্ত গাড়িতে দুষ্কৃতিদের অবিরাম গুলিবর্ষন, বিহারে গাড়িতেই মৃত্যু তরুণীর
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এই ঘটনাটি উত্তরাখণ্ডের হলদ্বানির টিপি নগর থানা এলাকায় ঘটেছে। পীড়িতা একজন অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। তার মা পুলিশকে জানিয়েছেন যে, সঞ্জয় পাল (বাসিন্দা হরিপুর শিবদত্ত বরেলি রোড) রামপুর রোডে এক আত্মীয়ের মরগির মাংসের দোকানে কাজ করত এবং সেখানেই থাকত। এই সময়ে তার সঙ্গে মেয়েটির বন্ধুত্ব হয়। সে মেয়েটিকে প্রেমের জালে ফাঁসিয়েছিল। এরপর দুজনে গোপনে দেখা করতে শুরু করে। সে পীড়িতাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কও স্থাপন করে।
কিছুদিন পর মেয়েটির মা এই প্রেমের সম্পর্কের বিষয়ে জানতে পারেন। প্রথমে তিনি মেয়েকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু সে না শোনায় তিনি তার মোবাইলের সিম কার্ড ভেঙে ফেলেন। এছাড়াও সঞ্জয়ের পরিবারকেও এই ঘটনার কথা জানান এবং তাকে বোঝানোর জন্য বলেন।
এরপর সঞ্জয়ের আত্মীয়রা তাকে চাকরির জন্য দিল্লিতে পাঠিয়ে দেয়। এত কিছু হওয়ার পরেও এই নাবালিকা তার বাবার মোবাইল থেকে অভিযুক্তের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ রাখত। যখন তার মা এ বিষয়ে জানতে পারেন তখন তিনি তার মেডিকেল পরীক্ষা করানোর সিদ্ধান্ত নেন। মেয়েটির মেডিকেল পরীক্ষায় জানা যায় যে সে দুই মাসের গর্ভবতী। এরপর মা গর্ভপাতের কথা বলার পর এই নাবালিকা তার প্রেমিকের কাছে দিল্লিতে পালিয়ে যায়।
এরপর তার মা টিপি নগর পুলিশের কাছে যান। পুলিশ কোনও মতে তাদের শহরে ফিরিয়ে আনে এবং এখানে আসার পরই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই ঘটনায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পরবর্তী তদন্ত চলছে বলে পুলিশ বিভাগের রাজেশ কুমার জানিয়েছেন।