উত্তরপ্রদেশে এবার পুলিশি বাধায় ফিরতে হল রাহুল-প্রিয়ঙ্কাকে। মেরঠ যাওয়ার পথে আজ তাঁদের মাঝপথ থেকেই ফিরিয়ে দিল যোগী সরকারের পুলিশ। পুলিশের যুক্তি, মেরঠে এখনও জমায়েত নিষিদ্ধ। যদিও কংগ্রেসের দাবি, তিন জনের একটি দলকে মেরঠে যাওয়ার জন্য আগেই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল প্রশাসনের কাছে।
নয়া নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে গত কয়েকদিনে এ ভাবেই উত্তাল হয়েছে উত্তরপ্রদেশের শহর মেরঠ। পুলিশের গুলিতে এই শহরে প্রাণ হারিয়েছেন বেশ কয়েকজন। সেই পরিবারের পাশে দাঁড়াতে মঙ্গলবার মেরঠ রওনা হয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি এবং কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গান্ধি বঢ়রা। কিন্তু মেরঠ বাইপাসে তাঁদের গাড়ি আটকে দেয় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। পুলিশকে বোঝানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন রাহুল গান্ধি. গাড়িতে বসেই ফোনে কথা বলেন মৃতদের পরিবারের সঙ্গে. বেশ কয়েকক্ষণ বচসার পর তাঁদের প্রতাপপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
advertisement
গত শনিবার উত্তরপ্রদেশে বিক্ষোভের পরেও বিজনউরে পৌঁচ্ছে গিয়েছিলেন প্রিয়ঙ্কা। মেরঠের এই ঘটনার পর কংগ্রেসের দাবি, প্রশাসনকে আগেই এই ব্যাপারে জানানো হয়েছিল। অনুমতি চাওয়া হয়েছিল তিন জনের একটি প্রতিনিধি দলকে মেরঠে ঢুকতে দেওয়ার। যদিও পুলিশের পালটা দাবি, মেরঠের পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক নয়। জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা আছে। তাই রাহুল-প্রিয়ঙ্কাকে সফর স্থগিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। গত রবিবার লখনউ বিমানবন্দরেই যোগী সরকারের পুলিশ আটকে ছিল তৃণমূল প্রতিনিধি দলকেও।