গত সপ্তাহ থেকেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে অসমে ৷ গত সপ্তাহের বুধবার কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটের অনুমোদন পায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৯। এরপর থেকেই উত্তাল হয়ে উঠেছে অসম সহ উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি। সোমবার লোকসভায় পাশ হওয়ার পর বুধবার রাজ্যসভাতেও বিলটি পাশ হয়। যার পর আরও তীব্র হয়েছে আন্দোলন ৷ গুয়াহাটি বিমানবন্দরে আটকে যান অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোওয়াল ৷ এরপর ডিব্রুগড়ে তাঁর বাড়িতে পাথরও ছোঁড়ে বিক্ষোভকারীরা ৷
advertisement
নাগরিকত্ব বিল নিয়ে উত্তাল দেশের উত্তর পূর্ব। সেই ইস্যু ছাপিয়ে রাহুল গান্ধির মন্তব্য নিয়ে দিনভর উত্তপ্ত লোকসভা। ‘রেপ ইন ইন্ডিয়া’ মন্তব্যের জেরে ওয়াইনাডের সাংসদকে তীব্র আক্রমণ স্মৃতি ইরানির। বিজেপির দাবি মেনে ক্ষমা চাইতে নারাজ রাহুল।
নাগরিকত্ব বিল নিয়ে শাসকদলকে চেপে ধরার পরিকল্পনা ছিল বিরোধী দলগুলোর। কংগ্রেস-সহ কোনও দলকে সেই সুযোগই দিল না বিজেপি। নাগরিকত্ব বিলের বদলে দিনভর রাহুল গান্ধির মন্তব্য নিয়ে উত্তাল লোকসভার অধিবেশন। অধিবেশনের শুরুতেই রাহুলের বিরুদ্ধে সরব হন নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার ঝাড়খণ্ডের একটি সভায় কংগ্রেস সাংসদের বক্তব্যকে হাতিয়ার করেই এই আক্রমণ।
রেপ ইন ইন্ডিয়া মন্তব্যের জন্য ক্ষমা না চাইলে রাহুলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন। স্পিকারের সঙ্গে দেখা করে আবেদন জানায় বিজেপির মহিলা প্রতিনিধিদল। তবে ক্ষমা চাওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন ওয়াইনাডের সাংসদ।
সংসদে এই চাপানউতোরের মধ্যেই টুইট করেন রাহুল। টুইটে নরেন্দ্র মোদির ২০১৩ সালের একটি ভিডিও। ভিডিও পোস্ট করেই রাহুলের দাবি, তৎকালীন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীও দিল্লিকে রেপ ক্যাপিটাল বলেছিলেন।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এই চাপানউতোর চলতেই থাকবে। তবে নাগরিকত্ব বিল দিয়ে উত্তর পূর্বে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা থেকে নজর ঘোরাতে আপাতত সফল বিজেপি।