স্যাটেলাইট ছবি মূলত চিনের তিনটে এয়ারবেসের । চাংদু বাংদা এয়ারবেস, শিগাস্তে এয়ারবেস এবং লাসা গোঙ্গার এয়ারবেস। এর মধ্যে চাংদু বাংদা এয়ারবেস অরুণাচল থেকে মাত্র ১৫০ কিমি দুরে। আর সেই এয়ারবেসের রয়েছে চিনের WZ 7 সোরিং ড্রাগন ফাইটার জেট । পাশাপাশি চাংদু বাংদা এয়ারবেসে চিনা তৈরি সুখোই জেটের আর এক ভ্যারিয়েন্ট, ফ্ল্যাঙ্কার জেট ।
advertisement
শিগাস্তে এয়ারবেসেও দেখা যাচ্ছে টারম্যাকে দাঁড়িয়ে রয়েছে ১০টি ফ্ল্যাঙ্কার জেট । এই এয়ারবেসেও চিনা তৎপরতা তুঙ্গে। রয়েছে ১টি KJ500 কন্ট্রোল এয়ারক্রাফ্ট। পাশাপাশি এই শিগাস্তেই রয়েছে চিনা সেনার UAV বা ড্রোন । যুদ্ধে এই UAV আকাশে সেনার চোখ ও কানের কাজ করে।
লাসা গোঙ্গার এয়ারবেসে দেখা যাচ্ছে ৪ টি J10 জেট । চিনে তৈরি এই J10 জেট সম্প্রতি কালে পাকিস্তানে রফতানি করে চিন । পাশাপাশি ছবিতে স্পষ্ট গোঙ্গার এয়ারবেসে রানওয়ে বাড়ানোর কাজও করছে চিনা সেনা ।
প্রাক্তন ভারতীয় বায়ুসেনা কর্মী গ্রুপ ক্যাপ্টেন আর কে দাসের মতামত, ভারত-চিন সীমান্তের কাছে চিনা বায়ুসেনার তৎপরতা বুঝিয়ে দিচ্ছে বেজিং তৈরি হচ্ছে । যদিও সেনা বিশেষজ্ঞদের মতে চিন অন্য যে কোনও সেনার মতো নিজেদের প্রস্তুত রাখছে। এতে উদ্বেগের কোনও কারণ নেই ।
সাম্প্রতিক কালে ডিসেম্বরে তাওয়াংয়ের ঘটনার পর ভারতীয় বায়ুসেনাও ওই এলাকায় মহড়া করে। যদিও সেনা সূত্রে খবর, এই মহড়ার সঙ্গে তাওয়াংয়ের ঘটনার কোনও যোগ নেই । এটা পূর্ব পরিকল্পিত।
৯ ডিসেম্বর তাওয়াং সেক্টরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। LAC পার করে চিনা সেনা। তাদের আটকে ফেরত পাঠাত ভারতীয় সেনা। এই উত্তেজনায় আহত হন দু’পক্ষের বেশ কয়েকজন জওয়ান । তারই মাঝে অরুণাচল থেকে ১৫০ কিমি দুরে চিনা বায়ুসেনার তৎপরতা কী উদ্বেগ বাড়াচ্ছে না? প্রশ্ন বিভিন্ন মহলে।