আরও পড়ুন- পিরিয়ডের সময় ছত্রাক সংক্রমণের ভয় তীব্র! সাবান দিয়ে ভুলেও ধোবেন না যোনিপথ
ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “বিশেষ পরিস্থিতি অভূতপূর্ব প্রতিক্রিয়ার দাবি রাখে ঠিকই কিন্তু এয়ারলাইন্স কর্মীরা পরিস্থিতি সামলাতে ব্যর্থ হন এবং বিমান চলাচলের বিধি ও নীতির ক্ষেত্রে ত্রুটি ঘটান। এই সব কারণেই কর্তৃপক্ষ ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সকে ৫ লাখ জরিমানার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা আরও জানিয়েছে, এই ধরনের পরিস্থিতি রোধ করার জন্য সংস্থা তার বিধিগুলি পুনর্বিবেচনা করবে এবং প্রয়োজনীয় পরিবর্তন ঘটাবে।
advertisement
গত ৭ মে রাঁচি-হায়দরাবাদ বিমানের যাত্রী মনীষা গুপ্তা ওই শিশু ও তার বাবা-মায়ের সমস্যার বিষয়টি তুলে ধরার পরেই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। বিমানের কর্মীরা তাঁদের বিমানে উঠতে দিতে অস্বীকার করেন। ভাইরাল হওয়া একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে, মনীষা গুপ্তা জানান, ইন্ডিগো ম্যানেজার চিৎকার করতে থাকেন এবং সবাইকে বলতে থাকেন যে “শিশুটি অস্বাভাবিক”। তিনি আরও জানান, অন্যান্য যাত্রীরা ওই পরিবারের সমর্থনে কথা বলেন এবং বিমানে চাপতে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করলেও ফল হয়নি।
ইন্ডিগোর সিইও রণজয় দত্ত একটি বিবৃতিতে জানান যে তাঁরা “একটি কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন”। “চেক-ইন এবং বোর্ডিং প্রক্রিয়া জুড়ে অবশ্যই আমাদের উদ্দেশ্য ছিল পরিবারকে বিমানে চাপতে দেওয়া, তবে, বোর্ডিংয়ের সময় শিশুটি দৃশ্যতই আতঙ্কিত ছিল। আমাদের গ্রাহকদের বিনম্র ও সহানুভূতিশীল পরিষেবা প্রদান করা আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিমানবন্দরের কর্মীরা নিরাপত্তা নির্দেশিকাগুলি জানেন। তাই কোনও সমস্যা এড়াতেই কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন তাঁরা,” বলেন রণজয় দত্ত।
আরও পড়ুন- এবার সাভারকারের বায়োপিক! স্বতন্ত্র বীর সাভারকারের ভূমিকায় রণদীপ হুডা!
বিমান চলাচল মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এর আগে জানিয়েছিলেন, “এই ধরনের আচরণের বরদাস্ত করা হবে না” এবং “কোনও মানুষকেই যেন এমন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে না হয়।”