এ বিষয়ে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার আবেদনের ন্যায্যতা কার্যত মেনে নিয়েছে শীর্ষ আদালত। ২০২২ সালে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা শীর্ষ আদালতে শিশু দত্তক নেওয়ার দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়াটিকে আরও সহজ করার জন্য আবেদন জানিয়েছিল। তাদের দাবি ছিল, ভারতে ‘সেন্ট্রাল অ্যাডপশন রিসোর্স অথরিটি’-র অধীনে একটি সন্তান দত্তক নেওয়ার জন্য তিন থেকে চার বছর সময় লেগে যায়, অথচ লক্ষ লক্ষ শিশু অপেক্ষায় থাকে। অভিযোগের ভিত্তিতে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রধান পীযূষ সাক্সেনাকে এ সংক্রান্ত রিপোর্ট তৈরি করতে বলেছিল শীর্ষ আদালত। সেই রিপোর্টেও ওই অভিযোগই উঠে এসেছিল।
advertisement
আরও পড়ুন: তখন মাঝরাত, কলকাতা মেট্রোর গভীর সুড়ঙ্গে কার দেহ মিলল! যা ঘটল, চমকে উঠল লালবাজারও
প্রসঙ্গত, ভারতে শিশু দত্তক গ্রহণ সংক্রান্ত নিয়মাবলী মূলত ‘হিন্দু দত্তক গ্রহণ ও ভরণপোষণ আইন ১৯৫৬’ এবং ‘শিশু সুরক্ষা আইন ২০০০’ দ্বারা পরিচালিত হয়। সুপ্রিম কোর্ট অতীতেও এই আইনগুলির ব্যাখ্যা এবং প্রয়োগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। দত্তক গ্রহণের বৈধতা, পদ্ধতি এবং শিশুদের অধিকার সুরক্ষার বিষয়ে একাধিক রায় দিয়েছে। এই মামলায় সরকারপক্ষের যুক্তি ছিল, একটি শিশুকে কোনও পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার আগে কঠোর ভাবে বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখা হয়। আর্থিক ভাবে কতটা সচ্ছল সেই পরিবার, সে দিকেও জোর দেওয়া হয়। যাঁরা দত্তক নিচ্ছেন, তাঁদের শংসাপত্রগুলি বৈধ কি না, তা-ও খুঁটিয়ে দেখার কথা। সরকারের দাবি, এই সব বিষয়ে নিশ্চিত করতেই অনেকটা সময় চলে যাচ্ছে।
দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, যে দম্পত্তি সন্তানহীনতার যন্ত্রণা উপশম করতে দত্তক নেওয়ার জন্য দীর্ঘ প্রতীক্ষা করছে, তাদের কাছে এমন দীর্ঘসূত্রিতা অসহনীয়। পাশাপাশি, ভারতে সন্তান দত্তক নিতে গড়ে সাড়ে তিন বছর সময় লাগে কেন সে প্রশ্ন তুলে শীর্ষ আদালত পর্যবেক্ষণে বলেছে, ”এত দীর্ঘ প্রতীক্ষা কাঙ্ক্ষিত নয়। সময় কমাতে হবে। দত্তক নেওয়ার জন্য এখনও ৩৬ হাজারের বেশি আবেদন জমা পড়ে রয়েছে।”