ইরুলা আদিবাসীরা বিষ আহরণের একটি পুরানো পদ্ধতি ব্যবহার করে। তবে দিন কে দিন তাদের বিশেষ বিষের চাহিদা বাড়ছে। পরিসংখ্যান বলে, সাপের বিষ নিষ্ক্রিয় করতে গোটা দেশে যে বিশাল পরিমান অ্যান্টি ভেনম বা প্রতিষেধক দরকার, তার ৮০ শতাংশ সরবরাহ করে এই ইরুলা সম্প্রদায়৷
আরও পড়ুন : সেনা কর্মীদের বেধরক মার, বান্ধবীকে গান পয়েন্টে গণধর্ষণ! ইনদউরে হাড়হিম ঘটনা
advertisement
ইরুলা আদিবাসীদের এই সাপ ধরে বিষ সংগ্রহ বা তার থেকে বিষের প্রতিষেধক উৎপন্ন করার ব্যাপারটি দীর্ঘদিনের৷ প্রায় ৪৬ বছর ধরে এই কাজটি করে আসছে তারা চলে। ২০২১ সালে একটি তামিল সিনেমায় ব্যাপারটি সামনে নিয়ে আসা হয়৷ জয় ভীম-নামের সেই সিনেমায় দেখানো হয়েছিল, সাপের বিষ সংগ্রহ করা এবং তার থেকে প্রতিষেধক তৈরির ক্ষেত্রে কতটা সমস্যার সামনে পড়তে হয় ইরুলা আদিবাসীর সদস্যদের৷ সম্প্রতি এই সম্প্রদায়ের দুজন তাঁদের কর্ম দক্ষতার স্বীকৃতিস্বরূপ পদ্মশ্রী পুরস্কারও পেয়েছেন। তাতে যে এই সম্প্রদায়ের মানুষদের যাবতীয় দুর্দশা দূর হয়েছে এমনও নয়৷ অবহেলিতই থেকে গিয়েছে তারা৷
আরও পড়ুন : সীতারাম ইয়েচুরির প্রয়াণে শোকস্তব্ধ রাজনৈতিক মহল, শোকপ্রকাশ মমতা-রাহুল-অভিষেকের
প্রতি বছর দেশে সাপের কামড়ে মৃত্যুর সংখ্যাটা কম নয়৷ পরিসংখ্যান বলে, সংখ্যাটা গড়ে ৫০ হাজারেরও বেশি। ইরুলা উপজাতির প্রায় ৩৫০ জন সদস্য সাপের বিষ সংগ্রহ এবং তার থেকে প্রতিষেধক উৎপন্ন করা কাজ করে থাকেন৷ কোন কোন সাপ থেকে বিষ নেয় তারা? তালিকায় রয়েছে রাসেলস ভাইপার, কমন ক্রেইট এবং কোবরার সাপ৷ মূলত, কাঞ্চিপুরম, চেঙ্গলপাত্তু এবং তিরুভাল্লুর জেলার আশেপাশের খামার থেকে সাপগুলি ধরা হয়। প্রতিটি সাপ থেকে তিন থেকে চারবার বিষ বের করা হয়, এবং ২১ দিন পর সেগুলিকে আবার বনে ছেড়ে দেওয়া হয়।