TRENDING:

বৃষ্টি থামছেই না চেন্নাইয়ে !

Last Updated:

বৃহস্পতিবার সকালে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা চেন্নাই, কাঞ্চিপুরম এবং তিরুভাল্লুর-সহ বেশ কিছু বন্যা কবলিত জায়গা পরিদর্শনে যান। সরকারি দফতরের সঙ্গে সমস্ত বেসরকারি অফিসগুলিতেও শুক্রবার পর্যন্ত দু’দিন ছুটি দিতে অনুরোধ করা হয়েছে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#চেন্নাই: চেন্নাইয়ের লাগাতার ভারী বৃষ্টি ইতিমধ্যেই গত ১০০ বছরের রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে ৷ সেই বৃষ্টি থামার এখনও পর্যন্ত কোনও লক্ষণ নেই ৷ বৃহস্পতিবার ফের সকাল থেকেই ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে তামিলনাডুর বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ৷ বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট, মোবাইল পরিষেবা, ল্যান্ডলাইন সবকিছু আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ৷ বন্ধ এটিএম পরিষেবাও ৷ দু’বেলার দু’মুঠো খাবার জোটানো এখন অনেকের পক্ষেই সম্ভব হচ্ছে না ৷ হেলিকপ্টারে করে ত্রাণ হয়তো পাঠানো হচ্ছে ৷ কিন্তু সেই ত্রাণ অনেকের কাছেই পৌঁছচ্ছে না  বলে অভিযোগ ৷ বাড়ির একতলা পুরোটাই ডুবে গিয়েছে জলের তলায় ৷ তাই বাঁচার ভরসা এখন ছাদ ৷ চেন্নাইয়ের মানুষজন এখন ছাদে উঠেই সরকারি ত্রাণের অপেক্ষায় দিন কাটাচ্ছেন ৷
advertisement

বৃহস্পতিবার সকালে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা চেন্নাই, কাঞ্চিপুরম এবং তিরুভাল্লুর-সহ বেশ কিছু বন্যা কবলিত জায়গা পরিদর্শনে যান। সরকারি দফতরের সঙ্গে সমস্ত বেসরকারি অফিসগুলিতেও শুক্রবার পর্যন্ত দু’দিন ছুটি দিতে অনুরোধ করা হয়েছে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুজো শেষ হতেই ঝাঁকে ঝাঁকে পদ্মার ইলিশ! জলের দরে টাটকা মাছ না খেলেই নয়
আরও দেখুন

আরও এক সপ্তাহ ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। এর মধ্যে আগামী ২৪ ঘণ্টায় পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের। যদিও বুধবার ভোরে বৃষ্টির তাণ্ডব খানিক কমেছিল। জল নামবে এই আশায় কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন বাসিন্দারা। কিন্তু দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সেই সম্ভাবনা মুছে যায় পুরোপুরি। জল তো নামেইনি, উল্টে চেমবারামবাক্কাম জলাধার থেকে জল ছাড়ায় আরও ফুলে ফেঁপে উঠেছে অ্যাডেয়ার নদী। বৃহস্পতিবার প্রায় ৩৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে সেখান থেকে। ভয়ানক অবস্থা সৈদাপেটের। জল বয়ে যাচ্ছে সৈদাপেট সেতুর উপর দিয়ে। ফলে বন্ধ যান-চলাচল। প্রশাসনের আশঙ্কা, খুব শিগ‌‌গিরি ভেসে যাবে কাছেই গিন্ডি ও সৈদাপেটের মাঝের রেললাইনও। ফলে যেটুকু পরিবহণ ব্যবস্থা এখনও টিকে আছে, তা-ও বন্ধ হওয়ার উপক্রম। জেগে থাকা রেললাইনের উপর দিয়ে হেঁটে যেতে দেখা গিয়েছে অনেককে। কারণ জলমগ্ন রাস্তার অবস্থা আরও করুণ। মাঝপথে দাঁড়িয়ে রয়েছে বাস। দেখা নেই ট্যাক্সি কিংবা অটোর। যদি বা ভাগ্যক্রমে জুটছে ট্যাক্সি, পাঁচ গুণ ভাড়া হাঁকছেন চালক। এই পরিস্থিতিতে বিপর্যয় মোকাবিলায় নেমেছে ‘ওলা’-র মতো মোবাইল অ্যাপ নির্ভর ট্যাক্সি সংস্থা। তাদের বার্তা, ‘যোগাযোগ করুন। সাহায্যের আপ্রাণ চেষ্টা করা হবে’।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
বৃষ্টি থামছেই না চেন্নাইয়ে !