হাওয়া অফিসের রেকর্ড বলছে, গত ১০০ বছরে এমন দুর্যোগের মুখে পড়েনি তামিলনাড়ু। প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ অসম্ভব। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারি, বেসরকারি স্তরে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তৎপর প্রশাসনও। কিন্তু প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সামনে দাঁড়িয়ে বন্যাদুর্গতদের সাহায্যে মানবিকতার বেনজির পদক্ষেপ নিল চেন্নাইবাসী।
advertisement
দেখে নেওয়া যাক কিছু ‘মানবিক’ ট্যুইটগুলি
১. আমাদের ফ্ল্যাট থিরুভানমায়ুর শুকনো । বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট আছে। সাহায্য প্রয়োজন হলে দয়া করে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷
২. থোরাইপক্কামের ব্যাচেলার্স রুমে অনেক জায়গা আছে, চলে আসুন ৷
৩. যাদের ঘর ভেসে গেছে, তাঁরা মাদ্রাজ খ্রীষ্টান কলেজের হল এবং ইস্ট তাম্বারামের অ্যান্ডারসন হলে চলে আসুন ৷
ট্যুইটগুলি করেছেন জয়শ্রী, ভেঙ্কট রামকৃষ্ণন, ঊষা অরুণরা। সকলেই চেন্নাই-এর আম-আদমি। চেন্নাই-এর একটু উঁচু জায়গায় বাড়ি, কলেজ, গেস্ট হাউসে থাকা বাসিন্দারা সবাই এখন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। বানভাসিদের জন্য নিজেদের হৃদয় উজাড় করে দিয়েছেন তাঁরা। ওল্ড মাদ্রাজ বেকিং কোম্পানির মতো অভিজাত রেস্তোরাঁ থেকে এজিএস সিনেমা বা সত্যম থিয়েটার। চেন্নাই এখন সবাইকে নিয়ে হাতে হাত দিয়ে লড়ছে প্রকৃতির বিরুদ্ধে। কতদিন দুর্যোগ চলবে জানা নেই। ইতিমধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নামানো হয়েছে এনডিআরএফ টিমকে। কেন্দ্রের সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ।
আগামী কয়েকদিন ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে । এই পরিস্থিতিতে চেন্নাইবাসীর এখন একটাই ভরসা, সেটা হল ‘মানবিকতা’।