মৃত ওই চিকিৎসকের নাম গ্রাডলিন রয়৷ তিনি চেন্নাইয়ের সবিতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ছিলেন৷ গত বুধবার এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে৷
হায়দ্রাবাদের এক স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ সুধীর কুমার জানিয়েছেন, ওই চিকিৎসককে বাঁচানোর জন্য হাসপাতালের অন্যান্য চিকিৎসকরা সবরকম চেষ্টা করেন৷ কিন্তু তার পরেও মৃত্যু হয় ওই চিকিৎসকের৷
তাঁর কথায়, ওঁর সহকর্মীরা সিপিআর, স্টেন্টিং সহ জরুরি ভিত্তিতে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি, ইন্ট্রা- অরোটিক বেলুন পাম্প, এমন কি একমো পদ্ধতিও প্রয়োগ করা হয়৷ কিন্তু ম্যাসিভ কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের কারণে যে ক্ষতি হয়েছিল, তা আর পূরণ করা সম্ভব হয়নি৷ ওনার মূল ধমণীতে ১০০ শতাংশ ব্লকেজ ধরা পড়ে৷
advertisement
ওই চিকিৎসক আরও জানান, গ্রাডলিন রয় নামে এই চিকিৎসক একা নন, সাম্প্রতিক সময়ে ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়সি তরুণ চিকিৎসকদের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা অদ্ভুত ভাবে বেডে় গিয়েছে৷
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করার ধকলই এই ধরনের মৃত্যুর জন্য দায়ী৷ চিকিৎসকরা অনেকেই সারাদিনে ১২ থেকে ১৮ ঘণ্টা কাজ করেন৷ এক একদিনে একটি শিফটেই তাঁরা ২৪ ঘণ্টা কাজ করেন৷
এর পাশাপাশি মারাত্মক স্ট্রেস, জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়া, রোগীদের প্রত্যাশার চাপ, মেডিকো- লিগাল বিষয় নিয়ে চিন্তার মতো বিষয়গুলি চিকিৎসকদের স্বাস্থ্যের উপরে ভয়ঙ্কর প্রভাব ফেলছে৷
এ ছাড়াও অনিয়মিত খাওয়া দাওয়া, শারীরিক কসরত না করা, স্বাস্থ্য পরীক্ষা এড়িয়ে যাওয়াও কম বয়সে চিকিৎসকদের হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার জন্য দায়ী৷ পেশাগত চাপ, অবসাদ, উদ্বেগের মতো বিষয়গুলির উপরে লক্ষ্য না রাখাও চিকিৎসকদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে৷