যে সেতুর কাজ শুরু হয়েছিল ২০০৪ সালের অগাস্ট মাসে। কার্যত সেতুর সেই কাজ শেষ হতে চলেছে ২০২২ সালের অগাস্ট মাসে। চেনাব সেতু তৈরি হয়ে গেলেই এবার এক ট্রেনেই পৌঁছনো যাবে সোজা কাশ্মীর। অবশেষে সম্পন্ন হতে চলেছে দিল্লি-কাশ্মীর রেলপথ প্রকল্প। কাটরা থেকে বানিহাল, ১১১ কিমি রেলপথ বসানোর কাজ প্রায় সমাপ্ত। একইসঙ্গে চেনাব নদীর উপর তৈরি হচ্ছে পৃথিবীর বৃহত্তম রেলসেতু। গোটা যাত্রাপথে নির্মাণ করা হচ্ছে ১২.৬ কিমি দীর্ঘ একটি টানেলও। দিল্লি-কাশ্মীর রেলপথে থাকছে মোট ২৬টি দীর্ঘ ও ১১টি ছোট সেতু। শুধু শ্রীনগরেই ৩৫টি টানেলের মধ্য দিয়ে ছুটবে ট্রেন। সব ঠিক থাকলে, ২০২৩-এর মধ্যেই সম্পন্ন হবে গোটা প্রকল্প। রেলপথে দিল্লি-কাশ্মীর সংযুক্তিকরণ ভারতীয় রেলের ইতিহাসে অন্যতম মাইলফলক হতে চলেছে।
advertisement
আরও পড়ুন- লিভারের ক্ষতি করলে চলবে না, রোজ তাহলে ঠিক কতটা মদ খাওয়া যেতে পারে?
সেতু নির্মাণকারী সংস্থা অ্যাফকনসের ভাইস প্রেসিডেন্ট মন্দার কারণিক জানিয়েছেন, শুধু তাই নয়, বারামুল্লা রেলওয়ে লাইনে রিয়েসি জেলায় চেনাব নদীর উপর রেলসেতু পেতে চলেছে পৃথিবীর উচ্চতম রেলসেতুর তকমা। উধমপুর-শ্রীনগর-বারামুল্লা রেল লিঙ্ক প্রজেক্টের অধীনে এই সেতু নির্মাণে মোট খরচ ১৫০০ কোটি টাকা। চেনাব নদীর উপর তৈরি রেলসেতু হবে প্যারিসের আইফেল টাওয়ারের থেকেও ৩৫ মিটার উঁচু। নদীর জলতল থেকে ৩৫৯ মিটার উপরে অবস্থান সেতুর। ইঞ্জিনিয়ারদের মতে, ব্রিজের আয়ু ১২০ বছর এবং এর উপর দিয়ে সর্বাধিক ১০০ কিমি বেগে ট্রেন চলাচল করতে পারবে।
আরও পড়ুন- রাশিফল ১২ অগাস্ট; দেখে নিন কেমন যাবে আজকের দিন
চেনাব সেতু তৈরি হলে কাশ্মীরের সঙ্গে দেশের অন্যান্য রাজ্যের রেলপথে সহজেই সংযোগ স্থাপন হবে। এমনকী, আবহাওয়াও বাধা হয়ে দাঁড়াবে না বলেই আশাবাদী রেল। রাজধানী থেকে এক ট্রেনেই পৌঁছনো যাবে ভূস্বর্গে।আপাতত চেনাবের গোল্ডেন জয়েন্টের প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে। গোল্ডেন জয়েন্ট হয়ে গেলেই কউরি ও বাক্কল জুড়ে যাবে রেলের মানচিত্রেও।