সমাবেশে উপস্থিত মানুষের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, ‘ছত্তিশগড়ের রেল নেটওয়ার্কের উন্নয়নে এক নতুন অধ্যায় লেখা হচ্ছে। এই রেল নেটওয়ার্কটি বিলাসপুর-মুম্বাই রেল লাইনের ঝারসুগুড়া বিলাসপুর সেকশনের যানজট হ্রাস করবে। একই ভাবে, যে সমস্ত রেলওয়ে লাইন চালু হয়েছে এবং যে রেল করিডোরটি নির্মাণ করা হয়েছে তা ছত্তিশগড়ের উদ্যোগিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে এক নতুন মাত্রা প্রদান করবে। যখন এই রুটের কাজ সম্পূর্ণ হবে তখন এটি ছত্তিশগড়ের মানুষকে সুবিধা প্রদান করার পাশাপাশি এখানে নতুন কর্মসংস্থান ও উপার্জনের সুযোগ সৃষ্টি করবে বলে প্রধানমন্ত্রীর আশা।
advertisement
আরও পড়ুন: বৃষ্টির দিনে এই সবজিগুলি খাওয়া এড়িয়ে চলুন, অজান্তে বড় ক্ষতি হতে পারে!
ছত্তিশগড় ইস্ট রেল প্রোজেক্ট ফেজ-১ প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রী গতিশক্তি ন্যাশনাল মাস্টার প্ল্যানের অধীনে তৈরি করা হচ্ছে, যা বহুমাত্রিক রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলবে। এর মধ্যে রয়েছে গারে-পেলমা পর্যন্ত একটি স্পার লাইন সহ খারসিয়া থেকে ধর্মজয়গড় পর্যন্ত ১২৪.৮ কিলোমিটার রেল লাইন এবং ছল, বারওউদ, দুর্গাপুর ও অন্যান্য কয়লা খনি সংযোগী ৩ টি ফিডার লাইন। ৩,০৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই রেলপথটি যাত্রীদের জন্য সমস্ত আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সহ বৈদ্যুতিক ব্রড গজ লেভেল ক্রসিং ও ফ্রি পার্ট ডাবল লাইন দিয়ে সজ্জিত। সেই সঙ্গে এটি ছত্তিশগড়ের রায়গড়ে অবস্থিত মান্ড–রায়গড় কোলফিল্ড থেকে কয়লা পরিবহণের জন্য রেল সংযোগও প্রদান করবে।
পেন্দ্রা রোড থেকে অনুপপুর পর্যন্ত তৃতীয় রেল লাইনটি ৫০ কিলোমিটার লম্বা এবং নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৫১৬ কোটি টাকা। প্রায় ৭৯৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত চম্পা ও জামগা রেল সেকশনের মধ্যে তৃতীয় লাইনটি ৯৮ কিলোমিটার লম্বা। নতুন এই রেলপথগুলি সংশ্লিষ্ট এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করবে এবং পর্যটন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করবে।৬৫ কিলোমিটার লম্বা বৈদ্যুতিক এমজিআর (মেরি-গো-রাউন্ড) সিস্টেমটি কম খরচে এনটিপিসি-র তালাইপাল্লি কয়লা খনি থেকে উন্নত মানের কয়লা ছত্তিশগড়ের এনটিপিসি-র ১৬০০ মেগাওয়াটের লারা সুপার থার্মাল পাওয়ার স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হবে।
এর ফলে, এনটিপিসি লারা কেন্দ্রে কম খরচে নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে, যা দেশের বিদ্যুৎ নিরাপত্তাকে শক্তিশালী করবে। এমজিআর সিস্টেমটি ২০৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে, যা কয়লা খনি থেকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে কয়লা পরিবহণ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য একটি প্রযুক্তিগত চমৎকার।এই রেল প্রকল্পগুলি সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে যাত্রী চলাচলের পাশাপাশি পণ্য পরিবহণের সুব্যবস্থার মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গতি নিয়ে আসবে।
আবীর ঘোষাল