কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে তিনি (Bhagwant Mann) বলেন, “কংগ্রেস আগে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ নিয়ে সন্দেহ করছিল। এখন, তারা বলছে যে তারা তাদের মুখ্যমন্ত্রীর মুখের জন্যও একটি নির্বাচন পরিচালনা করবে। কংগ্রেস ধীরে ধীরে আমাদের কাছ থেকে রাজনীতি শিখছে, ভালো! কংগ্রেস যাকেই তাদের মুখ্যমন্ত্রী বানাক, সে চরণজিৎ চান্নি হোক বা নভজ্যোত সিং সিধু- তাদের সরকার ক্ষমতায় আসবে না, তাই আমাদের কোনো সমস্যা নেই৷”
advertisement
পঞ্জাবের রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। আম আদমি পার্টি মাটি কামড়ে পড়ে রয়েছে ইতিমধ্যে৷ নির্বাচনে রাজ্যে জয়লাভ করার আশাও করছে তারা৷
আম আদমি পার্টির (AAP) দাবি, মান-এর নির্বাচন একটি পাবলিক পোলের মাধ্যমে করা হয়েছে৷ অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানান, চণ্ডীগড়ের একটি ইভেন্টে মান-এর নাম ঘোষণা করেছিলেন, যেখানে ৯৩% লোক ফোন , এসএমএস এবং হোয়াটসঅ্যাপে মানের পক্ষে ভোট দিয়েছেন৷ তারপরেই আপ তার মুখ্যমন্ত্রী পদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে। একজন কমেডিয়ান থেকে থেকে রাজনীতিবিদ, কেমন হবে মানের পরবর্তী সফর?
আরও পড়ুন: বিধি মেনেই স্কুলে স্কুলে পড়ুয়ারা! খুশির মেজাজে অভিভাবক থেকে শিক্ষামহল...
কমেডি শোয়ের বিচারক ছিলেন সিধুও৷ বর্তমান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি জানিয়েছিলেন আমরা সবাই একত্রে লড়ছি। কোনওভাবেই পঞ্জাবের শাসনভার কংগ্রেস ব্যতীত অন্য দলকে দেওয়া যাবে না৷ দুই কমেডিয়ানের লড়াইয়েই (Sidhu vs Mann) চোখ রাজনৈতিক মহলের৷
আরও পড়ুন: আজ থেকেই কাঁপিয়ে নামবে বৃষ্টি? মাটি হবে সরস্বতী পুজো? কী বলছে বাংলার আবহাওয়ার পূর্বাভাস...
অতীতে বেশ কয়েকটি বিতর্কের সঙ্গে জড়িত ছিলেন মান ৷ আম আদমি পার্টির সঙ্গে তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ার শুরু করার পর থেকে তাঁকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মাতাল হয়ে সভায় আসতে দেখা গিয়েছে। ২০১৫ সালে, ফরিদকোটে একটি শোকসভায় ভগবন্ত মান (Bhagwant Mann) মদ্যপ অবস্থায় অংশ নিয়েছেন, এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। ২০১৯-এ একটি জনসভায় মান ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি আর মদ্যপান করবেন না। মঞ্চে উপস্থিত কেজরিওয়াল তাঁর সিদ্ধান্তকে অভিনন্দন জানান। তবে কংগ্রেস এবং বিজেপি উভয়ই মানকে তাঁর প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য বারবার অভিযুক্ত করেছে। অন্যদিকে বিতর্ক ছিল সিধুকে ঘিরেও৷ মায়ের উপর অত্যাচারের অভিযোগ এসেছিল তাঁর উপর৷
এর মধ্যে কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব সামনে এসেছে৷ গত বছরের সেপ্টেম্বরে ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং (Amrinder Singh) পদত্যাগ করার পরে পঞ্জব কংগ্রেসের প্রাক্তন প্রধান সুনীল জাখর (Sunil jakhar) ছিলেন দলের বিধায়কদের মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য প্রথম পছন্দ ৷ এখন আবার এমনটাই দাবি জাখরের। তাহলে কী করে পদাধিকারি হলেন চান্নি (Channi), পঞ্জাবের নির্বাচনের আগে (Punjab Polls) প্রশ্ন এখানেই৷ কংগ্রেসের এই অন্তর্দ্বন্দ্বকে কাজে লাগাচ্ছে আপ৷