TRENDING:

Chandrayaan 3 Launchpad Technician: চন্দ্রযান ৩ মিশনের লঞ্চপ্যাড তৈরি করা টেকনিশিয়ানের সংসার চলছে ইডলি বিক্রি করে

Last Updated:

Chandrayaan 3 Launchpad Technician: ইসরো-র চন্দ্রযান-থ্রি লঞ্চপ্যাড যাঁরা তৈরি করেছিলেন, তাঁদের একজন ছিলেন দীপক৷ তিনি এখন রাঁচির পথের ধারে ইডলি বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
রাঁচি: দীপক কুমার উপরারিয়া পেশায় হেভি ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরশেন লিমিটেড-এর টেকনিশিয়ান৷ ইসরো-র চন্দ্রযান-থ্রি লঞ্চপ্যাড যাঁরা তৈরি করেছিলেন, তাঁদের একজন ছিলেন দীপক৷ তিনি এখন রাঁচির পথের ধারে ইডলি বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন৷ বিবিসি-তে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী রাঁচির ধারওয়া এলাকায় পুরনো বিধানসভা ভবনের উল্টোদিকে ইডলির দোকান চালান দীপক৷
ইসরো-র চন্দ্রযান-থ্রি লঞ্চপ্যাড যাঁরা তৈরি করেছিলেন, তাঁদের একজন ছিলেন দীপক
ইসরো-র চন্দ্রযান-থ্রি লঞ্চপ্যাড যাঁরা তৈরি করেছিলেন, তাঁদের একজন ছিলেন দীপক
advertisement

কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ সংস্থা হেভি ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরশেন লিমিটেড বা এইচইসিএল বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর বাধ্য হয়ে ইডলির দোকান শুরু করেছেন দীপক৷ সহকর্মীদের মতো তিনিও দেড় বছরের বেশি সময় বেতন পাচ্ছেন না৷ এখন ওই ইডলির দোকানই তাঁর অন্নসংস্থানের উৎস৷

অগাস্টে নজিরবিহীন সাফল্যের শরিক হয় ভারত৷ বিশ্বের মধ্যে প্রথম দেশ হিসেবে ভারত চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফ্ট ল্যান্ডিং করে৷ চন্দ্রযান থ্রি মিশনে যুক্ত ছিলেন অগণিত বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ থেকে কারিগরিবিদ৷ তাঁদের সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ এদিকে দেড় বছরের বেশি সময় ধরে বেতন না পেয়ে প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন এইচইসিএল কর্মীরা৷ তবে নিজেদের কর্তব্যে অবহেলা করেননি৷ চন্দ্রযান-৩ মিশনে নিজেদের দায়িত্ব সম্পূর্ণ করেন তাঁরা৷ তৈরি করেছেন চন্দ্রযানের ফোল্ডিং প্ল্যাটফর্ম এবং স্লাইডিং ডোর৷

advertisement

বিবিসি-র প্রতিবেদন অনুযায়ী এইচইসিএল-এর প্রায় ২৮০০ জন কর্মী দেড় বছরের বেশি সময় ধরে বেতনহীন৷ তাঁদের মধ্যে এক জন দীপক উপরারিয়া৷ জানিয়েছেন গত কয়েক দিন ধরে ইডলি বিক্রি করছেন তিনি৷ সঙ্গে আছে অফিসের কাজও৷ সকালে তিনি ইডলি বিত্রি করেন৷ দুপুরে চলে যান অফিসে৷ বিকেলে আবার দোকানে ইডলি বিক্রি করে রাতে বাড়ি ফেরেন৷

advertisement

আদতে মধ্যপ্রদেশের হরদার বাসিন্দা দীপক বেসরকারি সংস্থার কাজ ছেড়ে এইচইসিএল-এ যোগ দেন ২০১২ সালে৷ তখন তাঁর মাসিক বেতন ছিল ৮ হাজার টাকা৷ ভেবেছিলেন সরকারি সংস্থায় যোগ দিয়ে জীবন উজ্জ্বল হবে৷ কিন্তু হয়েছে ঠিক তার বিপরীত৷ দেনার দায়ে ডুবে থাকা দীপককে কেউ ধার দেন না৷ তাঁর স্ত্রীর গয়না বন্ধকী পড়ে আছে৷ বেতন না দিতে পেরে স্কুলে নিত্য অপমানিত হতে হয় তাঁর দুই মেয়েকে৷

advertisement

অনটনের সংসারে খড়কুটে তাঁর ছোট্ট ইডলির দোকান৷ স্ত্রীর তৈরি ইডলি তিনি বিক্রি করেন৷ দৈনিক ৩০০ থেকে ৪০০ টাকার ইডলি বেচে লাভ হয় ৫০ থেকে ১০০ টাকা৷ এই খুদকুড়ো দিয়েই চলছে চন্দ্রযান মিশনে শামিল টেকনিশিয়ানের সংসার৷

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
Chandrayaan 3 Launchpad Technician: চন্দ্রযান ৩ মিশনের লঞ্চপ্যাড তৈরি করা টেকনিশিয়ানের সংসার চলছে ইডলি বিক্রি করে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল