কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ সংস্থা হেভি ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরশেন লিমিটেড বা এইচইসিএল বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর বাধ্য হয়ে ইডলির দোকান শুরু করেছেন দীপক৷ সহকর্মীদের মতো তিনিও দেড় বছরের বেশি সময় বেতন পাচ্ছেন না৷ এখন ওই ইডলির দোকানই তাঁর অন্নসংস্থানের উৎস৷
অগাস্টে নজিরবিহীন সাফল্যের শরিক হয় ভারত৷ বিশ্বের মধ্যে প্রথম দেশ হিসেবে ভারত চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফ্ট ল্যান্ডিং করে৷ চন্দ্রযান থ্রি মিশনে যুক্ত ছিলেন অগণিত বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ থেকে কারিগরিবিদ৷ তাঁদের সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ এদিকে দেড় বছরের বেশি সময় ধরে বেতন না পেয়ে প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন এইচইসিএল কর্মীরা৷ তবে নিজেদের কর্তব্যে অবহেলা করেননি৷ চন্দ্রযান-৩ মিশনে নিজেদের দায়িত্ব সম্পূর্ণ করেন তাঁরা৷ তৈরি করেছেন চন্দ্রযানের ফোল্ডিং প্ল্যাটফর্ম এবং স্লাইডিং ডোর৷
advertisement
বিবিসি-র প্রতিবেদন অনুযায়ী এইচইসিএল-এর প্রায় ২৮০০ জন কর্মী দেড় বছরের বেশি সময় ধরে বেতনহীন৷ তাঁদের মধ্যে এক জন দীপক উপরারিয়া৷ জানিয়েছেন গত কয়েক দিন ধরে ইডলি বিক্রি করছেন তিনি৷ সঙ্গে আছে অফিসের কাজও৷ সকালে তিনি ইডলি বিত্রি করেন৷ দুপুরে চলে যান অফিসে৷ বিকেলে আবার দোকানে ইডলি বিক্রি করে রাতে বাড়ি ফেরেন৷
আদতে মধ্যপ্রদেশের হরদার বাসিন্দা দীপক বেসরকারি সংস্থার কাজ ছেড়ে এইচইসিএল-এ যোগ দেন ২০১২ সালে৷ তখন তাঁর মাসিক বেতন ছিল ৮ হাজার টাকা৷ ভেবেছিলেন সরকারি সংস্থায় যোগ দিয়ে জীবন উজ্জ্বল হবে৷ কিন্তু হয়েছে ঠিক তার বিপরীত৷ দেনার দায়ে ডুবে থাকা দীপককে কেউ ধার দেন না৷ তাঁর স্ত্রীর গয়না বন্ধকী পড়ে আছে৷ বেতন না দিতে পেরে স্কুলে নিত্য অপমানিত হতে হয় তাঁর দুই মেয়েকে৷
অনটনের সংসারে খড়কুটে তাঁর ছোট্ট ইডলির দোকান৷ স্ত্রীর তৈরি ইডলি তিনি বিক্রি করেন৷ দৈনিক ৩০০ থেকে ৪০০ টাকার ইডলি বেচে লাভ হয় ৫০ থেকে ১০০ টাকা৷ এই খুদকুড়ো দিয়েই চলছে চন্দ্রযান মিশনে শামিল টেকনিশিয়ানের সংসার৷