রাম রহিমকে গ্রেফতার করার পর থেকেই হানিপ্রীতকে নিয়ে জল্পনা ছিল তুঙ্গে ৷ পালিতা মেয়ে হানিপ্রীতকেই বাবার সবচেয়ে কাছের মানুষ বলে মনে করা হচ্ছিল ৷ ডেরা অনুগামীদের মধ্যে যথেষ্ট জনপ্রিয় ‘পাপার পরী’ হনিপ্রীত। কিন্তু রাম রহিমের সাজা ঘোষণার পর থেকেই খোঁজ মিলছে না হানিপ্রীতের ৷
হরিয়ানা পুলিশ মনে করছে সুযোগ বুঝে হানিপ্রীত দেশ ছেড়ে নেপালে পালিয়েছে ৷ পুলিশের অনুমান অনুযায়ী, নেপালের কোথাও গা দিয়েছেন হানিপ্রীত ৷ এই কারণেই হরিয়ানা পুলিশ নেপাল বর্ডারে পুলিশ পোস্টিং বাড়িয়ে দিয়েছে ৷ হরিয়ানা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হানিপ্রীতির সঙ্গে রয়েছেন রাম রহিমের তিন ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিও ৷
advertisement
অন্য এক সূত্রের দাবি, ছদ্মবেশে অস্ট্রেলিয়া পালানোর চেষ্টা করছিলেন হানিপ্রীত ৷ সেই উদ্দেশ্যেই মুম্বইয়ের শিবাজী ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে পৌঁছেছিলেন তিনি ৷ কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি ৷ সেখান থেকেই নাকি পুলিশের জালে ধরা পড়েছেন হানিপ্রীত ৷ প্রিয়াঙ্কা তনেজা নামের জাল পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করা হানিপ্রীতকে গ্রেফতার করে নিরাপত্তার কারণেই গোপন জায়গায় নিয়ে গিয়েছে পুলিশ ৷
সূত্রের খবর, ২৫ অগাস্ট ধর্ষণে অপরাধী রাম রহিমকে আদালত ২০ বছরের কারাদণ্ড দেয়। পুলিশ হেফাজত থেকে রাম রহিমকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার ষড়যন্ত্র করছিলেন হনিপ্রীত ৷ কিন্তু শেষে তাতে সফল হতে পারেননি তিনি ৷ পয়লা সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করা হয় ৷
হানিপ্রীত ছাড়াও ডেরার মুখপাত্র আদিত্য ইনসানের নামে নোটিস ডারি করা হয়েছে ৷ অভিযোগ রাম রহিম গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে হিংসা ও উত্তেজনার ছড়ানোর চেষ্টা করেন তিনি ৷ অনেকে বলছেন হানিপ্রীত লুকিয়ে রয়েছেন তো আবার অন্যরা বলছেন তিনি রোহতকে এক ভক্তের বাড়িতে রয়েছেন তিনি ৷
পাঁচকুলা আদালত চত্বর থেকে রোহতক জেলে নিয়ে যাওয়ার জন্য রাম রহিমের জন্য যে বিশেষ চপার এসেছিল, তাতে হানিপ্রীতকে বাবার পাশে বসে থাকতে দেখা গিয়েছিল ৷ কী করে তা সম্ভব হয়েছিল তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে ৷