তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার এবং ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যকে আইনি বৈধতা দেওয়ার দাবিতে গত বছর নভেম্বরে ‘দিল্লি চলো’ যাত্রার ডাক দিয়েছিলেন পঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকরা। সেই থেকেই দিল্লি, সিঙ্ঘু এবং টিকরি সীমানায় ঘাঁটি গেড়ে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন আন্দোলনকারী কৃষকরা। পরবর্তীতে উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থানের কৃষকরাও পঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকদের সঙ্গে আন্দোলনে সামিল হন। কেন্দ্রের সঙ্গে বেশ কয়েকবার আলোচনা সত্ত্বেও কোনও সমাধানে পৌঁছাতে পারেনি দুই পক্ষ। বিক্ষোভকারীরা জানিয়ে দিয়েছেন আইন বাতিল না হলে আন্দোলন থামবে না। এরই মধ্যে শনিবার বিক্ষোভের শততম দিন পূর্ণ হয়েছে।
advertisement
আর তার একদিন পর কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার বলেন, ‘কৃষকদের অনুভূতির প্রতি সম্মান জানিয়ে সরকার কৃষি আইনগুলো সংশোধন করতে প্রস্তুত আছে।’
পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, কেন্দ্রের তৈরি করা নয়া কৃষি আইনে যে সংস্কারগুলি করা হয়েছে তাতে সেই অর্থে কোনও ভুল নেই। কেন্দ্রীয় সরকার সবসময় কৃষকদের পাশেই রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত মাসে রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেছিলেন, কেন্দ্রের প্রস্তাবিত নয়া কৃষি আইন গুলিতে দেশের অন্নদাতাদের কল্যাণের স্বার্থেই সংস্কারগুলি করা হয়েছে। তাঁর যুক্তি ছিল, গত বছরের সেপ্টেম্বরে সংসদে পাশ হওয়া কৃষি আইন গুলির দ্বারা উপকৃতই হবেন দেশের কৃষকরা। কৃষিখাতে বিনিয়োগ বাড়াতে সাহায্য করবে।
রবিবার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে নিশানা করে নরেন্দ্র সিং তোমর বলেন, ’কৃষকদের এই বিক্ষোভে দেশের বিরোধী দলগুলো মদত দিয়ে আদতে কৃষকদের ক্ষতি করে দিচ্ছে। গণতন্ত্রে মতবিরোধের জায়গা থাকতেই পারে তা বলে একটা সমগ্র কৃষক সম্প্রদায়ের ক্ষতি করার অধিকার নেই বিরোধীদের।’