কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জাতীয় জন গণনাকে “ভারতের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য প্রক্রিয়া” বলে অভিহিত করেছেন।
এর আগে শেষ গোটা দেশে জাতীয় জন গণনা হয়েছিল ২০১১ সালে। ২০২১ সালে কোভিড অতিমারির জন্য এই জন গণনা স্থগিত রাখতে হয়। এরপরে কবে জন গণনা হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হচ্ছিল। এর মাঝেই কেন্দ্র সরকারের সবুজ সঙ্কেত পাওয়া গেল। দিনক্ষণ নিশ্চিত করে কেন্দ্র জানিয়েছে আগামী ২০২৭ সালের ১ মার্চ রাত ১২টায় গোটা দেশে জাতীয় জন গণনার তথ্য প্রকাশ করা হবে।
advertisement
এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব আরও জানান, ভারতবর্ষে বিগত ১৫০ বছর ধরে সেনসাস বা আদমশুমারির কাজ হয়ে আসছে। আগামী ২০২৭ সালে ভারতে ১৬তম আদমশুমারি এবং স্বাধীনতার পর থেকে অষ্টম আদম শুমারি হতে চলেছে।
ছোট গ্রাম, শহরাঞ্চল, থেকে ওয়ার্ড লেভেল পর্যন্ত প্রতিটি জায়গায় জনবৈচিত্র্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আর্থিক অবস্থা, ইত্যাদি বিষয়গুলি এই জন গণনা বা আদম শুমারির মাধ্যমেই ফুটে ওঠে।
সেনসাস অ্যাক্ট ১৯৪৮ এবং সেনসাস আইন ১৯৯০-এর অধীনে এই জন গণনা হতে চলেছে বলে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
এই প্রসঙ্গে, বৈষ্ণব আরও জানান, এই জন গণনা মোট দুটি পর্যায় বা ভাগে হবে। চলতি বছরের ১৬ জুন একটি গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে সে কথা আগেই জানানো হয়েছিল।
প্রথম ধাপে প্রতিটি ঘরে এবং বাড়িতে গিয়ে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর, ৩০ দিনের মধ্যে দেশের প্রতিটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
দ্বিতীয় ধাপে পপুলেশন এনুমারেশন শুরু হবে ২০২৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। এই সময় মূলত লাদাখ, কাশ্মীরে তুষারাবৃত অঞ্চলে তথ্য সংগ্রহের কাজ চলবে। অন্যদিকে, আগামী বছরের সেপ্টেম্বর মাসে হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের দুর্গম এলাকাগুলিতে তথ্য সংগ্রহের কাজ হবে।
এই জনগণনাই প্রথম সম্পূর্ণভাবে ডিজিটাল হতে চলেছে। অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস দুই ফোনেই কাজ করবে এমন একটি আপ্লিকেশন বানানো হবে যেখানে রিয়েল টাইমে তথ্য দেখা এবং তা ম্যানেজ করা যাবে। এই জন্য সেনসাস ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড মনিটরিং সিস্টেম (সিএমএমএস) পোর্টাল খোলা হবে বলে জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
