কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শিক্ষার অধিকার আইন ২০০৯ অনুসারে সমস্ত শিশুকেই প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষার ব্যবস্থা করতে বাধ্য সরকার। একই ভাবে, সামাজিক ন্যায় বিচার ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রক ও উপজাতি মন্ত্রকের প্রকল্পে বৃ্ত্তির যোগ্য শুধুমাত্র নবম ও দশম শ্রেণির পড়ুয়ারা। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের জন্য সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রকও বৃত্তি প্রদান করবে শুধুমাত্র নবম ও দশম শ্রেণিতে।"
advertisement
আরও পড়ুন: রাত পোহালেই ভোট গুজরাতে, প্রথম দফায় ভাগ্যপরীক্ষা ৭৮৮ প্রার্থীর
ফলে এখন থেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নবম ও দশম শ্রেণির পড়ুয়াদেরই আবেদনপত্র জমা নিয়ে তা যাচাই করবেন প্রতিষ্ঠানিক নোডাল অফিসার, জেলা নোডাল অফিসার বা রাজ্যের নোডাল অফিসার। কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে সমালোচনা করেছে মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড এবং জমিয়ত উলেমায়ে হিন্দ।
আরও পড়ুন: ১১ ধর্ষকের মুক্তির বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতে বিলকিস বানো
মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড জানিয়েছে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বিশেষ করে মুসলিম সম্প্রদায়ের পড়ুয়াদের দেওয়া মাধ্যমিকের আগে, পরে, মেধা ভিত্তিক বৃত্তি প্রদান চালু করা হয়েছিল সাচার কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে। সেখানে বলা হয়েছিল, দেশে শিক্ষার দিক থেকে ব্যাপকভাবে পিছিয়ে রয়েছে মুসলিম শিশুরা। এমন কি, তপশিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়কে থেকেও তারা পিছিয়ে রয়েছে।" তাদের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়ারা।
জমিয়ত উলেমায় হিন্দের তরফেও কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করা হয়েছে। রাজনৈতিকভাবেও কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করা হয়েছে। কংগ্রেস সভাপতি মালিকজুর্ন খর্গে টুইটারে লিখেছেন, "প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজি, আপনার সরকার তপশিলি জাতি, উপজাতি, সংখ্যালঘুদের জন্য প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির পড়ুায়াদের বৃত্তি বন্ধ করে দিয়েছে। গরিব পড়ুয়াদের বৃত্তি থেকে বঞ্চিত করার কারণ কী? গরিব পড়ুয়াদের থেকে এই অর্থ ছিনিয়ে আপনার সরকার কত বাঁচাবে বা আয় করবে?"