এক দেশ, এক নির্বাচনের প্রস্তাব খতিয়ে দেখার জন্য প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্ব একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল৷ সেই কমিটি ইতিমধ্যেই এই প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে৷ রাষ্ট্রপতির কাছে রিপোর্টও জমা দিয়েছে রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বাধীন কমিটি৷
গত মাসে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়েও এক দেশ, এক নির্বাচনের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছিলেন, ঘন ঘন নির্বাচনের কারণে দেশে অগ্রগতি বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে৷
advertisement
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এক দেশ, এক নির্বাচনের প্রস্তাবে ছাড়পত্র দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তীব্র বিরোধিতা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘এক দেশ, এক নির্বাচন গণতন্ত্র বিরোধী বিজেপির আরও একটি সস্তার চমক৷ মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনের সঙ্গে কেন হরিয়ানা এবং জম্মু কাশ্মীরের নির্বাচন করানো হল না? কারণ জুন মাসে মহারাষ্ট্রে চালু হওয়া লড়কি বহিন প্রকল্পের প্রথম কিস্তির টাকা অগাস্ট মাসে উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে৷ দ্বিতীয় কিস্তির টাকা ঢুকবে অক্টোবর মাসে৷ তিনটি রাজ্যের নির্বাচন যাঁরা একসঙ্গে করাতে পারেন না তাঁরা আবার এক দেশ, এক নির্বাচনের কথা বলছেন৷ একই সঙ্গে জানানো হোক, এর জন্য সংবিধানের কতগুলি সংশোধন করতে হবে এবং কতগুলি বিধানসভার মেয়াদ কমাতে অথবা বাড়াতে হবে? মোদি-শাহের জুমলার আদর্শ উদাহরণ৷’