এই সহায়তা SDRF এবং NDRF এর অধীনে কেন্দ্র কর্তৃক ইতিমধ্যেই মুক্তিপ্রাপ্ত তহবিলের অতিরিক্ত।২০২৪-২৫ আর্থিক বছরে, কেন্দ্রীয় সরকার SDRF-এর অধীনে ২৭টি রাজ্যে ১৮,৩২২.৮০ কোটি টাকা, NDRF থেকে ১৮টি রাজ্যে ৪,৮০৮.৩০ কোটি টাকা, রাজ্য দুর্যোগ প্রশমন তহবিল (SDMF) থেকে ১৪টি রাজ্যে ২,২০৮.৫৫ কোটি টাকা এবং জাতীয় দুর্যোগ প্রশমন তহবিল (NDMF) থেকে ৮টি রাজ্যে ৭১৯.৭২ কোটি টাকা বিতরণ করেছে। পড়শি রাজ্য ত্রিপুরা এই ফান্ড পেলেও, বাংলা অবশ্য পায়নি। ত্রিপুরার জন্য ২৮৮.৯৩ কোটি টাকা ত্রাণ অনুমোদন করল কেন্দ্রীয় সরকার।কেন্দ্রীয় সরকার ত্রিপুরার জন্য অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় সহায়তা অনুমোদন করল। গত বছরের আগস্টে ভয়াবহ ও ধ্বংসাত্মক বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সহায়তা হিসেবে জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা তহবিলের (এনডিআরএফ) আওতায় ত্রিপুরার জন্য ২৮৮.৯৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করল কেন্দ্র।
advertisement
সাম্প্রতিক বন্যার ফলে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি এবং রাজ্যের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় ত্রাণ ব্যবস্থা প্রদানের বিষয়ে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি নয়াদিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন। সেখানে ত্রিপুরাকে সবধরনের প্রয়োজনীয় সাহায্য প্রদানের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে আশ্বাস দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন : রবিবার পর্যন্ত বিক্ষিপ্তভাবে রাজ্যে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির আশঙ্কা, হতে পারে শিলা বৃষ্টিও !
এই প্রসঙ্গে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা বলেছেন, ‘‘গত বছরের আগস্টে রাজ্যে ভয়াবহ বন্যার পরিপ্রেক্ষিতে এনডিআরএফ -এর অধীনে ত্রিপুরার জন্য অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় সহায়তা হিসেবে ২৮৮.৯৩ কোটি টাকা অনুমোদিত হয়েছে। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা আরও জানান, ‘‘এই অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় সহায়তা অবশ্যই রাজ্যের দুর্যোগ-প্রভাবিত মানুষের জন্য বিশেষ সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। ত্রিপুরার জন্য বরাদ্দকৃত ২৮৮.৯৩ কোটি কোটি টাকা নিঃসন্দেহে ২০২৪ সালের বন্যা থেকে উত্তরণে ও উন্নয়নমূলক লক্ষ্য অর্জনে রাজ্যকে ব্যাপকভাবে সাহায্য করবে। এ জন্য আমি আন্তরিকভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ত্রিপুরার পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ জানাই।’’