পুলিশের দাবি, বাসচালক জনার্দন হাম্বারডিকার ঠান্ডা মাথায় এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন। সম্প্রতি সংস্থার কয়েকজন কর্মী তাঁকে ‘অপমান’ করেছিলেন। তার বদলা নিতেই ঠান্ডা মাথায় খুনের পরিকল্পনা করেন তিনি। প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করেছিল, শর্ট সার্কিট থেকে বাসে আগুন লাগে। তবে সিসিটিভি ফুটেজে আগুনের তীব্রতা দেখে সন্দেহ হয়। ডিসিপি (জোন ২) বিশাল গায়কোয়াড় বলেন, “শুরুতে দুর্ঘটনার জেরে মৃত্যুই মনে হয়েছিল। কিন্তু বিভিন্ন সূত্র বিশ্লেষণ করে এবং আগুন ছড়িয়ে পড়ার ধরণ দেখে সন্দেহ হয়। প্রশ্ন ওঠে, শর্ট সার্কিট থেকে আগুন এত দ্রুত এবং এত ভয়াবহ আকার নিতে পারে কি না। এরপর গাড়ির ফরেনসিক হয়।“
advertisement
তিনি আরও বলেন, “ঘটনার পর বাস থেকে লাফ মারেন চালক। মাটিতে পড়ে অজ্ঞান হয়ে যান। তৎক্ষণাৎ তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জ্ঞান ফিরলে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধের কথা স্বীকার করে নেন তিনি। প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ঠান্ডা মাথায় খুনের পরিকল্পনা করেছিলেন চালক।“পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত চালক জনার্দন হাম্বারডেকার প্রতিশোধ নিতে পরিকল্পিতভাবে বাসে আগুন ধরিয়ে দেন। তিনি আগেই অত্যন্ত দাহ্য রাসায়নিক বেঞ্জিন জোগাড় করে, ইন্ডাস্ট্রিয়াল টোনারে ভেজানো কাপড় বাসের ভেতরে রেখে দিয়েছিলেন।
হিঞ্জেওয়াড়ির কাছে পৌঁছানোর পর, তিনি একটি দেশলাই জ্বালিয়ে কাপড়ে আগুন ধরিয়ে দেন। তারপর চলন্ত বাস থেকে লাফ দিয়ে পালান। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এই অবস্থায় প্রায় ১০০ মিটার এগিয়ে যায় বাস। তারপর একটা ডিভাইডারে ধাক্কা মেরে থেমে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, আগুন লাগানোর সময় চালকের শরীরেও দাহ্য পদার্থ লেগে যায়, ফলে তিনিও আহত হন। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সুস্থ হলেই তাঁকে গ্রেফতার করা হবে। এই ঘটনায় শঙ্কর শিন্ডে (৬৩), রাজন চৌহান, গুরুদাস লোকারে (৪৫) এবং সুভাষ ভোঁসলে (৪৪) মৃত্যু হয়। তাঁরা বাসের পেছনের দিকে বসেছিলেন। সময়মতো এমার্জেন্সি গেট খুলতে না পারায় মারা যান। এছাড়া আরও ছয়জন গুরুতর জখম হয়েছেন।