জানা গিয়েছে, অসুস্থ অবস্থায় পার্শ্ববর্তী সুশীলা তিওয়ারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় শিশুকে। তবে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে বাঁচানো যায়নি। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বিড়াল কামড়ের পর সঠিক সময়ে রেবিজ ইনজেকশন না নেওয়ার কারণেই ঘটেছে এই মর্মান্তিক পরিণতি।
advertisement
সূত্রের খবর, প্রায় দুই মাস আগে মায়ের সঙ্গে দুধ আনতে যাওয়ার সময় রাস্তায় বিড়াল কামড়ায় শিশুটিকে। তখন পরিবারের সদস্যরা তাকে টিটেনাস ইনজেকশন দিয়েছিল কিন্তু অ্যান্টি রেবিজ ইনজেকশন দেয়নি। হাসপাতাল থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, কিছুদিন আগে কৃষ্ণর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে। গত বুধবার জ্বর এবং হাইড্রোফোবিয়া (পানির ভয়) এর অভিযোগের পর পরিবারের সদস্যরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
শিশু রোগ ইউনিটে তাকে ভর্তি করা হয়, কিন্তু স্বাস্থ্যে কোনও উন্নতি হয়নি। পরিবারের সদস্যরা তাকে ভাল চিকিৎসার জন্য AIIMS ঋষিকেশ নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ডিসচার্জ করিয়ে নেয়। পথে তার স্বাস্থ্যের আরও অবনতি ঘটে এবং তারপর পরিবারের সদস্যরা তাকে আবার সুশীলা তিওয়ারি হাসপাতালে নিয়ে আসে, যেখানে চিকিৎসার সময় শিশুর মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: ভ্যাপসা গরম, দু’দিন যেতে না যেতেই কালো হয়ে যাচ্ছে কলা? এইভাবে রাখলে ৭ দিন পরেও দিব্যি থাকবে টাটকা
২৪ ঘণ্টার মধ্যে অ্যান্টি রেবিজ ইনজেকশন দেওয়া জরুরি হালদ্বানি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডঃ অরুণ জোশী বলেছেন যে যদি এটি নিশ্চিত হয় যে কোনো ব্যক্তির রেবিজ হয়েছে, তাহলে সারা বিশ্বে এর কোনো চিকিৎসা নেই। রেবিজ কুকুর, বিড়াল, শিয়াল, শেয়াল যেকোনও প্রাণী থেকে হতে পারে। প্রাণীর লালা কামড়ানো স্থানে লাগলে ব্যক্তির রক্ত সংক্রমিত হয়ে যায়।
একইভাবে রেবিজ সংক্রমিত প্রাণীরও সাধারণত প্রায় ১০ দিনের মধ্যে মৃত্যু হয়। রেবিজ সংক্রমিত ব্যক্তির মধ্যে মাথাব্যথা, জ্বর, পেশীতে ব্যথা, জলের ভয় (হাইড্রোফোবিয়া) এবং অন্যান্য অস্বাভাবিক আচরণ দেখা যায়। প্রাণীর কামড়ানোর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অ্যান্টি রেবিজ ইনজেকশন দেওয়া জরুরি হয়। সাধারণত তিনটি ইনজেকশন দেওয়া হয়। যে প্রাণী কামড়েছে, যদি তারও ১০ দিনের মধ্যে মৃত্যু হয়, তাহলে পাঁচটি ইনজেকশন দেওয়া হয়।