সুতরাং, এই বিরল প্রজাতিটি যাতে ওই অভয়ারণ্যকে বিভক্ত করা রেলওয়ে ট্র্যাক অতিক্রম করতে সক্ষম হয় তার জন্য উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের পক্ষ থেকে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। অসম বন দপ্তর, ওয়াইল্ডলাইফ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া এবং সমস্ত অংশীদারদের সঙ্গে পরামর্শ করে অভয়ারণ্যের ভেতরে ক্যানোপি ব্রিজ স্থাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ নেওয়া হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: দাউ দাউ করে জ্বলছে! কালো ধোঁওয়ায় ঢাকল ধাপার মাঠ, ঘটনাস্থলে ২০টি দমকল ইঞ্জিন, কীভাবে লাগল আগুন?
বৃক্ষচারী প্রজাতির এই প্রাণীগুলি যাতে রেলওয়ে ট্র্যাকের এক অংশ থেকে আরেক অংশে সহজে যাতায়াত করতে পারে তার জন্য এই ক্যানোপি ব্রিজগুলি নির্বাচিত স্থানগুলিতে স্থাপন করা হবে। রেলওয়ে ট্র্যাকের উপরে ক্যানোপি ব্রিজ স্থাপনের জন্য অসম বন দপ্তরের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে ডিজাইন ও আনুমানিক হিসেব জমা করা হয়েছে।
উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের সঙ্গে আলোচনা করে এই ডিজাইন তৈরি করেছে ওয়াইল্ডলাইফ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া। অসম বন দপ্তরের দ্বারা এই ক্যানোপি ব্রিজগুলি স্থাপনের জন্য উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে ইতিমধ্যে ২০২৪-এর ফেব্রুয়ারি মাসে আনুমানিক অর্থরাশিও জমা করেছে।উপযুক্ত ও উচ্চমানের বেঁধে রাখার উপকরণ ও কৌশল ব্যবহার করে ক্যানোপি ব্রিজগুলির শেষপ্রান্তের পাশাপাশি নটগুলিকে সুরক্ষিত এবং টাইট করা হবে। দুর্ঘটনাবশত ব্রিজ থেকে পড়ে গেলে এই বিরল প্রজাতির প্রাণীগুলি যাতে রক্ষা পায় তার জন্য একটি ফেইল-সেফ প্রক্রিয়া হিসেবে মূল টুইন-রোপ ব্রিজের নীচে সেফটি নেট স্থাপন করা হবে।
এই ক্যানোপি রোপ ব্রিজগুলি এমনভাবে স্থাপন করা হবে যাতে দীর্ঘ সময়ের জন্য লতাপাতার মতো প্রাকৃতিক উপাদানগুলি রোপ ব্রিজের দুপাশে লেগে থাকতে পারে, এর ফলে বন্যপ্রাণীগুলির চলাফেরায় সাহায্য হবে এবং রোপ ক্যানোপি ব্রিজের চারদিকে কেন্দ্রীভূতভাবে একটি হাইব্রিড (অথবা সেমি-আর্টিফিসিয়াল) বিন্যাসের আকার ধারণ করবে। সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির বন দফতরের সঙ্গে আলোচনা করে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের পক্ষ থেকে লুপ্তপ্রায় বন্যপ্রাণীর প্রজাতিগুলিকে বিলুপ্ত হওয়া থেকে রক্ষা করতে সম্ভাব্য সমস্ত স্থানে পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।