TRENDING:

বিরোধীদের আপত্তি উড়িয়ে ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টারে অনুমোদন কেন্দ্রের, বরাদ্দ ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা

Last Updated:

একাধিক রাজ্যের আপত্তি সত্ত্বেও NPR চালু করতে বদ্ধপরিকর মোদি সরকার ৷ বিরোধীদের আপত্তি উড়িয়েই ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টার তৈরির কাজ শুরু করতে অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা ৷

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#নয়াদিল্লি: নাগরিকত্ব আইন ও নাগরিকপঞ্জি বিতর্কে উত্তাল গোটা দেশ ৷ তার মাঝেই NPR-এ অনুমোদন কেন্দ্রের ৷ ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টারে ছাড়পত্র দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ৷একাধিক রাজ্যের আপত্তি সত্ত্বেও NPR চালু করতে বদ্ধপরিকর মোদি সরকার ৷ বিরোধীদের আপত্তি উড়িয়েই ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টার তৈরির কাজ শুরু করতে অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা ৷
advertisement

কেন্দ্রের দাবি, এই NPR-এ উপকৃত হবেন সকলেই ৷ ৬ মাসের মধ্যে শেষ করা হবে কাজ ৷ তবে NPR-এ লাগবে কোনও নথি ৷ এমনকী প্রয়োজন নেই বায়োমেট্রিক তথ্যের ৷ NPR তথ্য মিলবে মোবাইল অ্যাপেই ৷

উল্লেখ্য, সম্প্রতিই ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টার বা এনপিআর-এর কাজও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রকে জানিয়ে দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ নবান্ন সূত্রের খবর, আপাতত এনপিআর-এ সায় নেই রাজ্যের। ২০২১ সালের জনগণনার সঙ্গেই হওয়ার কথা ছিল এনপিআর। সেই প্রক্রিয়াও শুরু করে দিয়েছিল রাজ্য সরকার৷বাংলার মতো আরও অনেক রাজ্যই NPR নিয়ে নিজের আপত্তির কথা কেন্দ্রকে জানিয়েছিল কিন্তু তারপরই এই ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টার তৈরি শুরু করতে উদ্যোগী সরকার ৷

advertisement

হঠাৎ কেন এমন সিদ্ধান্ত? ২০১১ সালে হয়েছিল এনপিআর। ২০১৫ সালে ড্রাফ্ট হওয়া সত্ত্বেও তা প্রকাশ করা হয় না। ২০২১ সালে আবার এনপিআর প্রকাশের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। কিছু দিনের মধ্যেই এই কাজ শুরুর কথা ছিল। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, এনআরসি নিয়ে মানুষ চূড়ান্ত বিভ্রান্তিতে রয়েছে। ডিজিটাল রেশন কার্ড করাতে গিয়েই তা টের পেয়েছে প্রশাসন। এ বার নাগরিকত্ব বিল নিয়েও রাজ্য জুড়ে যে ভাবে বিক্ষোভ হচ্ছে, তাতেই কী আগাম সতর্কতার জেরে এনপিআর হবে না বলেই জানায় এ রাজ্যের সরকার ৷

advertisement

এনপিআর কী? এনপিআর-এর পুরো কথা হল ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টার। এর মাধ্যমে কোন এলাকায় কতজন বাস করেন, শেষ ছ’মাসে কোনও এলাকায় নতুন কত বাসিন্দা এসেছেন তার হিসেব নেওয়া হয়। ওই হিসেবের মধ্যে স্ত্রী, পুরুষ, শিশু ভাগের পাশাপাশি ধর্ম অনুসারেও ভাগ করা হয়। সেই কাজই বন্ধ করে দিল রাজ্য সরকার। জনগণনা যেমন খতিয়ে দেখে লোকসংখ্যা। ঠিক সে ভাবেই নাগরিকদের বিভিন্ন নথি দেখে ওই লোকসংখ্যার চরিত্র বিশ্লেষণ করে এনপিআর। যেখানে জানতে চাওয়া হয়, ওই ব্যাক্তি কোনও ধর্মের, কতদিন ধরে আছেন। ওই ব্যাক্তি কি বৈধ নাগরিক, নাকি আইনি বিধি মেনে কিছুদিনের জন্য আছে। এক কথায় নাগরিকের চরিত্রের তথ্য তুলে ধরাই এনপিআর-এর উদ্দেশ্য।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
বিরোধীদের আপত্তি উড়িয়ে ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টারে অনুমোদন কেন্দ্রের, বরাদ্দ ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল