প্রচণ্ড গরমে নাজেহাল মানুষের জীবন। হিট স্ট্রোকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বহু মানুষ। বিহারে একসঙ্গে বহু মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। পরিস্থিতি যে কতটা ভয়াবহ তা বোঝা যায় বক্সারের চরিত্রবন শ্মশানের দিকে তাকালে। সেখানকার অবস্থা ক্রমশ শোচনীয় হয়ে উঠছে।
আরও পড়ুন- 110KM গতিতে ছিল ট্রেন, স্টেশনে ছিটকে পড়ল যুবক! প্ল্যাটফর্মে ভয়ঙ্কর কাণ্ড
advertisement
সূত্রের খবর, সাধারণত চরিত্রবনের শ্মশানে প্রতিদিন গড়ে ৩০ থেকে ৩৫টি মৃতদেহ দাহ করা হয়। কিন্তু গত কয়েকদিনে সেই সংখ্যা একলাফে বেড়ে ৮০ ছুঁয়েছে। পরিস্থিতি এমনই যে সমস্ত দিনরাত জ্বলছে চিতা। বিশেষত রাতে।
প্রচণ্ড গরমের কারণে মানুষ দিনের কাজকর্ম বন্ধ রাখার চেষ্টা করছেন। এমনকী শবদাহের মতো কাজও রাতে করার চেষ্টা করছেন তাঁরা। তার ফলেই বিপত্তি। সকলেই চাইছেন সূর্য ডোবার পর শ্মশানে পৌঁছতে। ফলে পরিস্থিতি এমন হচ্ছে, যে রাতে শ্মশানঘাটে মৃতদেহ রাখারও জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না।
এক নিকটজনের শেষকৃত্যে যোগ দিতে শ্মশানে এসেছিলেন ধানসোই থানার সুজাতপুর গ্রামের বাসিন্দা ঋষিকেশ রাই। তিনি বলেন, ‘এর আগেও বহু মানুষের মৃত্যুর পর শ্মশানে এসেছি। বহুবার দেখেছি এই শ্মশান। কিন্তু এমন পরিস্থিতি কখনও দেখিনি।’ ঋষিকেশ জানান, দুই ঘণ্টার মধ্যে ঘাটে প্রায় ৫০টি মৃতদেহ আসতে দেখেছেন তিনি। অবাক হয়েছেন পরিস্থিতি দেখে।
ঘটনা হল, বক্সার-সহ বিহারের অনেক জেলায় দাবদাহ চলছে। এর আগেই এই সব এলাকায় আবহাওয়া দফতর কমলা সতর্কতা জারি করে রেখেছিল। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকেও মানুষকে দিনের বেলা বাড়ি থেকে বের হওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- রাতের নির্জন রাস্তায় মহিলার আর্তনাদ! তারপর যা হল… পুরো ঘটনা জানলে থমকে উঠবেন
প্রচণ্ড গরমে মৃত্যুর হার বেড়েছে এই রাজ্যে। সেই সঙ্গে বাড়ছে শ্মশানের কাউন্টারে শেষকৃত্যের জন্য প্রয়োজনীয় রসিদ কাটার সারি।