অজমেরের গ্রামীণ পুলিশ উপাধীক্ষক রামচন্দ্র চৌধুরী জানিয়েছেন, নিহত ব্যক্তির নাম সুরেশ গুজ্জর, যিনি পিহ অঞ্চলে একটি গাড়ির বাজার চালাতেন। সুরেশ ৬ নভেম্বর পিসাঙ্গনের কোলেসরা এলাকার বাসিন্দা সোনু ওরফে সানি-কে ৮ লাখ টাকায় একটি বোলেরো গাড়ি বিক্রি করেছিলেন। বুধবার সকালে এক লাখ টাকা নেবার পর সোনু বিকেলের মধ্যে বাকি ৭ লাখ টাকা দেবেন বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সোনু তার সহযোগী মুকেশের সঙ্গে মিলে টাকা না দিয়ে সুরেশকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে।
advertisement
লাঠি-ডান্ডা দিয়ে আক্রমণ
বিকেলে সুরেশ টাকা নিতে এলে সোনু ও মুকেশ তাকে গ্রামের একটি পরিত্যক্ত বাড়ির কাছে নিয়ে যায়। সেখানে তারা পেছন থেকে লোহার ও কাঠের ডাণ্ডা দিয়ে সুরেশের মাথায় আঘাত করে। এতে সুরেশ লুটিয়ে পড়েন এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পুলিশি জেরায় সোনু ও মুকেশ জানায়, দেহটি গোপন করার জন্য তারা ৬ ঘণ্টা ধরে সেটি গাড়িতে নিয়ে ঘুরে বেড়ায়।
দেহটি কাঁথায় মুড়ে ফেলে রেখে দেয়
পরে তারা দেহটিকে একটি বস্তায় ঢুকিয়ে কাঁথা মুড়ে জাঠানা বাইপাসের পাশে এক নির্জন বাড়িতে ফেলে আসে। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত সুরেশ বাড়ি না ফেরায় তার পরিবার উদ্বিগ্ন হয় এবং সন্দেহভাজন একজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করে জেরা করলে পুরো ঘটনা সামনে আসে। সত্য সামনে আসার পর পরিবারটি ভেঙে পড়ে।
পরিবারের মাধ্যমে দেহ শনাক্ত
পুলিশ উপাধীক্ষক জানান, সত্য সামনে আসার পর পিসাঙ্গন থানার প্রধান বিক্রম সিং শেখাওয়াত এবং মাঙ্গলিয়াবাস থানার প্রধান সুরেন্দ্র সিং রাঠোর ঘটনাস্থলে পৌঁছে সুরেশ গুজ্জরের দেহ উদ্ধার করেন। পরে পরিবারের মাধ্যমে দেহটি শনাক্ত করা হয়। বর্তমানে পুলিশ এই পুরো ঘটনাটির তদন্ত চালাচ্ছে।
