এই দুর্ঘটনা ঘটে ভোর প্রায় ৪টা ৩০ মিনিট নাগাদ। চালক ঘুমিয়ে পড়েছিলেন বলেই বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারায় বলে পুলিশ জানিয়েছে। ধাক্কার পরই বাসের চালক ঘটনাস্থলেই মারা যান। কিন্তু বাসটি সেখানেই থেমে যায়নি, চালক না থাকায় প্রায় ৫০০ মিটার দূর পর্যন্ত চলতে থাকে এবং রাস্তার ধারে রাখা ইঁটের স্তূপে গিয়ে সজোরে ধাক্কা মারে। এতে আরও ৬ জন যাত্রী ঘটনাস্থলেই মারা যান। বহু যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন এবং মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।
advertisement
আরও পড়ুন: কোহিনূরের বদলা! ব্রিটিশ মিউজিয়ামের ডোনেশন বাক্সে ১০ টাকা রাখলেন ভারতীয়, দেখুন ভিডিও…
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দা রামানুজ যাদব বলেন, “সব যাত্রীই কানওয়াড়িয়া ছিলেন। সবাই বাবার ধাম দেখে ফিরছিলেন। সম্ভবত চালক তখন ঘুমিয়ে পড়েছিলেন, তাই এই ঘটনা ঘটেছে।”
৩২ আসনের ওই বাসটি বাসুকিনাথ যাচ্ছিল। যেটি গ্যাস সিলিন্ডার বোঝাই একটি ট্রাকে ধাক্কা মারে। যদিও গ্যাস থাকার কারণে বড় বিস্ফোরণের আশঙ্কা ছিল, সৌভাগ্যবশত আগুন লাগেনি।
আরও পড়ুন: সাপের এমন অভিনয় আগে দেখেছেন? হালকা স্পর্শ পেতেই মৃত্যুর অভিনয়, লুটিয়ে পড়ল মাটিতে! দেখুন ভিডিও…
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে মোহনপুর থানার পুলিশ, সিসিআর ডিএসপি লক্ষ্মণ প্রসাদ, এসডিও রবি কুমার এবং জেলা পরিষদের সভানেত্রী কিরণ কুমারী দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান। আহতদের দেওঘর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়, যেখানে চিকিৎসকরা তাদের প্রাণ বাঁচাতে আপ্রাণ চেষ্টা করছেন।
দুমকা জোনের আইজি শৈলেন্দ্র কুমার সিনহা বলেন, “বাসটি কানওয়াড়িয়াদের নিয়ে যাচ্ছিল। একটি গ্যাসবোঝাই ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লাগায় এই মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটে। অনেকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন। আমরা তদন্ত করছি।”
এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় শ্রাবণ মাসের পবিত্রতা ছায়াচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। যে তীর্থযাত্রা আনন্দ আর ভক্তির উদ্দেশ্যে শুরু হয়েছিল, তা পরিণত হয়েছে এক ভয়ঙ্কর শোকের ঘটনায়।