কুমারী পুজো উপলক্ষে মঙ্গলবার বর্ধমানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সর্বমঙ্গলা মন্দিরে সাজো সাজো রব ছিল। স্নানের পর ন’ জন কুমারীকে দেবীর সাজে সাজানো হয়। এরপর তাদের সিংহাসনে বসিয়ে এক সঙ্গে বরণ করেন মন্দিরের পুরোহিতরা৷ এর পর মন্দিরের পুরোহিত মন্ত্রোচ্চারণের মধ্য দিয়ে কুমারী পুজো শুরু করেন। দীর্ঘক্ষণ ধরে নিষ্ঠার সঙ্গে এই পুজো চলে। পুজো শেষে দর্শনার্থীদের আশীর্বাদ করেন দেবী রূপে পুজো পাওয়া কুমারীরা।
advertisement
মা সর্বমঙ্গলাকে বর্ধমানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী বলা হয়। এখানকার পুজোর নির্ঘণ্ট মেনে সমগ্র রাঢ়বঙ্গের অন্যান্য সব পুজো অনুষ্ঠিত হয়। মহালয়ার পর দিন প্রতিবাদে শোভাযাত্রা সহকারে ঘট তোলার মধ্য দিয়ে পুজোর সূচনা হয়েছিল। মা সর্বমঙ্গলা লক্ষ্মীরূপিণী, অষ্টাদশভুজা সিংহবাহিনী। তাঁর কষ্টিপাথরের মূর্তি। প্রতিপদ থেকে নবরাত্র পুজো হয়। এখানে নবমীর দিন অনুষ্ঠিত হয় এই নব কুমারী পুজো।
আরও পড়ুন : গোস্বামী বাড়িতে ৩৫০ বছরের প্রাচীন পুজোয় জৌলুস কমলেও অটুট নিষ্ঠা
বর্ধমানের বাসিন্দারা যে কোনও শুভ কাজের আগে মা সর্বমঙ্গলার মন্দিরে পুজো দেন। আশীর্বাদ নেন। পুজোর চার দিন এখানে প্রচুর দর্শনার্থীর সমাগম হয়। পুজো দেখে, অঞ্জলি দিয়ে ভোগ খেয়ে বাড়ি ফেরেন ভক্তরা। এদিন কুমারী পুজো উপলক্ষে ব্যাপক ভিড় ছিল সর্বমঙ্গলা মন্দিরে। কুমারী পুজো দেখতে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেন অনেকেই।
আরও পড়ুন : গভীর জঙ্গলে ডুলুং নদীর পাশে অষ্টধাতুর কনকদুর্গা মন্দিরে প্রাচীন রীতিতে মাতৃ আরাধনা
মন্দিরের পুরোহিতরা জানালেন আগে এখানে পুজোয় পশুবলি হত। বেশ কয়েক বছর হল সেই বলি প্রথা বন্ধ হয়ে গেছে। রাজ আমল থেকেই সন্ধিপুজোয় কামান দেগে তোপ ধ্বনি হত। কয়েক দশক আগে সেই তোপধ্বনির সময় কামান ফেটে যায়। তাতে অনেকে আহত হন। তারপর থেকেই কামান দাগা বন্ধ।