প্রতিরক্ষা খাতের জন্য গার্হস্থ্য শিল্প থেকে ৬৮ শতাংশ সংগ্রহের যে প্রস্তাব করা হয়েছে তা উৎসাহজনক। সামগ্রিকভাবে দেখলে জানুয়ারি ২০২২-এ জিএসটির ক্ষেত্রে যে খতিয়ান তুলে ধরা হয়েছে তা যথেষ্ট আশাব্যঞ্জক, জানানো হয়েছে ASSOCHAM-এর তরফে৷ নতুন বাজেটের প্রশংসা করেছেন ASSOCHAM-এর প্রেসিডেন্টও৷ ভারত চেম্বার অফ কমার্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট (Shri N G Khaitan, Senior Vice-President, Bharat Chamber of Commerce) জানান, শুধু বাজেট দিয়ে আমাদের দারিদ্র্য যাবে না, শুধু বাজেট দিয়ে আমাদের উন্নতিও হবে না৷ বাজেট ঘোষণা হওয়ার পর তার প্রয়োগ দরকার৷ প্রয়োগ না হলে বাজেটের মূল্য নেই৷ তবে বিশ্বের দরবারেও ভারতের অর্থনীতি প্রশংসনীয়৷ গত সালে ভারতের জিডিপি হার চীনের থেকে বেশি৷
advertisement
আরও পড়ুন: ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে বড় ঘোষণা বাজেটে, বসছে ৩০ শতাংশ কর!
কর বিশেষজ্ঞ তিমিরবরণ চট্টোপাধ্যায় জানান, মধ্যবিত্তের জন্য এটাই ভাল খবর, যে তাঁদের ওপর নতুন করে করের বোঝা চাপেনি। করোনার জন্য একাধিক অর্থ খরচ হচ্ছে, যেমন বিনামূল্যে রেশন। এর ফলে ১৭ লক্ষ কোটির যে দেনা বাজারে রয়েছে, সেটা মেটানোর রাস্তা তৈরি করতে হবে। পরিকাঠামো উন্নয়নের উল্লেখ আছে। আশা করা যায়, এর ফলে কর্মসংস্থান হবে।
আরও পড়ুন: 'জনদরদী-সম্ভাবনাময়' বাজেট! নির্মলা সীতারমণকে অভিনন্দন জানিয়ে বললেন মোদি...
বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্সের ইনডিরেক্ট ট্যাক্স কমিটির কো-চেয়ারম্যান পুলক সাহা জানিয়েছেন, পরিকাঠামোর যে উন্নয়নের কথা বলা হয়েছে সেটা ভাল। পরিকাঠামোর উন্নয়ন হলে কর্মসংস্থান বাড়বে। কিন্তু প্রশ্ন হল এই টাকা কোথা থেকে আসবে? কোনও ফান্ড ম্যাপিং এর কথা বলা হল না। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে কোনও বাজেটের কথা বলা হল না। ফলে এই বাজেট এখনই দিশা দেখাতে পারল, এটা বলা যায় না।
ডিজিটাল কারেন্সি এক্সপার্ট অর্ণব বসু বলেন, অনেকের ভয় ছিল ডিজিটাল কারেন্সি নিয়ে। এবার সেই ভয় কাটবে। একটা সরকারি ডিজিটাল কারেন্সি আসবে। অনেকেই বিটকয়েন বা ইরিডিয়াম থেকে অনেকে লাভ করেছিলেন। ফলে তাদের কর দিতে অসুবিধা হবে না। আস্তে আস্তে একাধিক ডিজিটাল কপি বা ডিজিটাল অ্যাসেট কেনার প্রবণতা বাড়ছে। তার জন্যে এই ডিজিটাল কারেন্সির প্রয়োজনীয়তা বাড়বে।
ডিজিটাল মুদ্রা নিয়ে অনেক দিন ধরেই ভাবনা-চিন্তা করছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া। গত বছরই ডিজিটাল মুদ্রার প্রচলন করার কথা জানিয়েছিল আরবিআই। গত অক্টোবরে আরবিআই সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক ডিজিটাল কারেন্সি (সিবিডিসি)-র প্রস্তাব আনে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফেও জানানো হয়ে, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে একটি প্রস্তাব এসেছে। ডিজিটাল মুদ্রাকে ব্যাঙ্ক নোটের সংজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। এই বিষয়ে আইন সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী (Nirmala Sitharaman) বাজেটে ঘোষণা করেছেন, আরবিআই-এর অধীনে ডিজিটাল মুদ্রা চালু করা হবে।