যাত্রী সুরক্ষা ও পরিচ্ছন্ন রেল পরিষেবার উপরেই সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে ৷ এর জন্য আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ১০ লক্ষ কোটি টাকার একটি আলাদা তহবিল ৷ ২০১৯ সালের মধ্যে রেলের সব কোচেই থাকবে বায়ো টয়লেট ৷ রেলের পরিচ্ছন্নতার উপর বিশেষভাবে জোর দেওয়া হয়েছে। আনা হচ্ছে বিশেষ অ্যাপও।
২০২০ সালের মধ্যে প্রহরীবিহীন ক্রসিং তুলে দেওয়া হবে ৷ এছাড়া প্রায় সাত হাজার স্টেশনে সৌর বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হবে বলেও এদিন ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি ৷
advertisement
রেললাইন সম্প্রসারণের জন্যও এবার আরও উদ্যোগী সরকার ৷ তৈরি করা হবে ৫০০ কিলোমিটার নতুন রেলপথ ৷ ১৭টি রেল প্রকল্পে আলাদা আলাদা নজর দেওয়া হবে। রেলের উন্নতিতে জোর দেওয়া হবে পিপিপি মডেলে।৫০০টি স্টেশনে শারীরিক প্রতিবন্ধকতাযুক্ত মানুষদের জন্য তৈরি করা হবে লিফট ও চলমান সিঁড়ি-সহ বিশেষ ব্যবস্থা।
লেভেল ক্রসিংয়ে রক্ষী নেই ৷ ২০২০-র মধ্যেই এই বিষয়টা আর দেখা যাবে না ৷ কারণ তার মধ্যেই দেশের সমস্ত রক্ষীবিহীন লেভেল ক্রসিংয়ে রক্ষীর ব্যবস্থা করা হবে। যাত্রীদের জন্য সুরক্ষা তহবিল তৈরির কথাও ঘোষণা করেছেন অরুন জেটলি ৷
২০১৭-১৮-র মধ্যেই অন্তত দেশের ২৫টা রেল স্টেশনকে পুরস্কার দেওয়া হবে ৷ এছাড়া পর্যটন এবং তীর্থযাত্রীদের কথা মাথায় রেখে তৈরি বিশেষ ট্রেনগুলিতেও বেশ কিছু নতুন ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷ কর্মসংস্থান বাড়ানোর লক্ষ্যে মেট্রো রেলেও এদিন নতুন পলিসির কথা ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী। যাত্রীদের জন্য ভাল খবর, IRCTC-র ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ই-টিকিট বুকিংয়ের ক্ষেত্রে এবার থেকে সার্ভিস চার্জ তুলে নেওয়া হবে।