রাজস্থানে বিধানসভা ভোটের পর বিএসপি-র ছয় বিধায়ককে দলে টেনেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট ৷ গত বছর সেপ্টেম্বরে দল বদল করার আবেদন জমা করতেই তা সাদরে গ্রহণ করেছিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ সি পি জোশী ৷ যা নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিলেন মায়াবতী৷ বিধায়করা দলবদল করার পরই গেহলটের বিরুদ্ধে ছুরি মারার অভিযোগ করেছিলেন তিনি৷ এবার সুযোগ পেয়েই পাল্টা গেহলটকে চাপে ফেলে দিলেন মায়াবতী৷ এই নিয়ে দ্বিতীয়বার বিএসপি বিধায়কদের দল ভাঙিয়ে কংগ্রেসে নিয়ে এসেছিলেন গেহলট৷ এর আগের বার মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময়ও একই কাজ করেছিলেন তিনি৷
advertisement
বিএসপি বিধায়করা দলে যোগ দেওয়ায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে সুবিধে হয়েছিল গেহলটের৷ ১২ জন নির্দল বিধায়ক ছাড়াও কয়েকটি ছোট দলের ৫ বিধায়কও গেহলট সরকারকে সমর্থন করেছিল৷
বিএসপি-র এই বিধায়কদের সদস্য পদ খারিজ করার দাবি জানিয়ে প্রথমে বিজেপি নেতা মদন দিলওয়ার হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন৷ তাঁর অভিযোগ ছিল, সচিন পাইলট এবং তাঁর অনুগামী ১৮ বিধায়কের সদস্যপদ খারিজ করার বিষয়টি নিয়ে রাজস্থান বিধানসভার অধ্যক্ষ যে তৎপরতা দেখিয়েছেন, তা তিনি বিএসপি বিধায়কদের ক্ষেত্রে দেখাননি৷ অথচ ওই ৬ বিধায়ক কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পরে স্পিকারের কাছে একই দাবি জানিয়েছিল বিএসপি-ও৷ শেষ পর্যন্ত রবিবার বিকেলে বিএসপি জানিয়ে দিয়েছে, ৬ বিধায়কের উপর নিজেদের দাবি জানিয়ে তারাও এবার আদালতে যাচ্ছে৷ এর আগে ওই ৬ বিধায়ককে একটি আস্থা ভোটে গেহলট সরকারের বিরুদ্ধে ভোট দিতে নির্দেশ দিয়েছিল বিএসপি৷