২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ পর্যটকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এরপর থেকে ক্ষভে ফুঁসছিল ভারত। এরপর ৭ মে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদীদের পরাস্ত করতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান। এরপর সীমান্তের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, ১০ মে ভারত ও পাকিস্তান একে অপরের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান বন্ধের ‘সমঝোতায়’ পৌঁছয়।
জওয়ানের স্ত্রী রজনী পূর্ণমকুমার পাকিস্তানে বন্দি থাকাকালীন ফিরোজপুরে গিয়েছিলেন স্বামীর বিষয়ে খোঁজখবর পেতে, যেখানে তিনি নিযুক্ত ছিলেন কাজের জন্য। বিএসএফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন, যারা তাকে ভারতে ফিরিয়ে আনার জন্য সমস্ত প্রচেষ্টা চালানোর আশ্বাস দেন। এরপর কয়েক দফা আলোচনা হলেও প্রাথমিকভাবে ফল মেলেন। বিএসএফ আধিকারিকদের পাকিস্তান থেকে প্রতিবারই একই জবাব দেওয়া হয় ‘আমরা উপরের আধিকারিকদের নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করছি’।
১০ মে ‘সমঝোতার’ পর অমৃতসরের আটারির জয়েন্ট চেকপোস্ট দিয়ে পাকিস্তানি হেফাজত থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আজ বিএসএফ জওয়ান পূর্ণম কুমার শ, যিনি ২৩ এপ্রিল ২০২৫ থেকে পাকিস্তান রেঞ্জার্সের হেফাজতে ছিলেন, তাকে অমৃতসরের আটারি জয়েন্ট চেকপোস্ট দিয়ে প্রায় সাড়ে দশ’টায় ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়। শান্তিপূর্ণভাবে এবং প্রতিষ্ঠিত প্রোটোকল মেনেই হস্তান্তর করা হয়েছে।’