তিনি বলেন, নয় দিন পেরিয়ে গেল স্বামী পাক রেঞ্জারদের হাতে বন্দি কিন্তু বিএসএফ আধিকারিকরা শুধুমাত্র আশ্বাস দিচ্ছেন। প্রসঙ্গত কেন্দ্রীয় সরকার বারবার চাপ দিলেও, পাকিস্তানের তরফে ছাড়ার ব্যাপারে কোনও ইতিবাচক কথা বলা হচ্ছে না। ফলে প্রবল উৎকন্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন পূর্ণমের পরিবারের সদস্যরা।
গরিব পাকিস্তানের সেনাবাহিনী বড়লোক! যুদ্ধ করতে হয় না তবু ‘কাঁড়ি কাঁড়ি’ টাকা জেনারেলদের! কী করে জানেন?
advertisement
ট্রেনে চড়েই ‘বড়লোক’! এক স্টেশন থেকে উঠে পরের স্টেশনে নেমে যেতেন এই যাত্রী… GRP ধরতেই অবাক কাণ্ড!
বিএসএফের ডিজি ও আইজির সঙ্গে পূর্ণমের স্ত্রীর ফোনে কথা হয়েছে। কিন্তু স্বামী কেমন আছেন, সুস্থ আছেন কি না, তা নিয়ে উৎকণ্ঠা-উদ্বেগ বেড়েই চলেছে রজনীর। শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কথা বলেছেন। যোগাযোগ রাখছেন পাকিস্তানে বন্দি পূর্ণম সাউয়ের পরিবারের সঙ্গেও। ছেলেকে ফেরানোর দায়িত্ব কেন্দ্রের। কিন্তু তারা কী করছে কিছুই জানাচ্ছে না। আমাদের উৎকণ্ঠা বেড়েই চলেছে, বলে জানাচ্ছেন পূর্ণমের বাবা।
এই অবস্থায় রাজনৈতিক চাপানউতোর বাড়ছে। তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, বড় বড় ডায়লগ ছাড়ুন, আগে পাকসেনার হাতে আটক থাকা বাংলার ছেলে জওয়ানটিকে ফিরিয়ে আনুন। মিডিয়া এই খবরে গুরুত্ব দিচ্ছে না কেন? বিজেপি নেতাদের নানা হুঙ্কার, যুদ্ধজাহাজের মহড়া দেখিয়ে বাজার গরম চলছে; এই বিপন্ন ছেলেটিকে ফেরত আনার কাজে জোর দেওয়া হচ্ছে না কেন? উদ্বেগে রয়েছেন সকলে। জানা গিয়েছে আগে জম্মু-কাশ্মীরে পোস্টিং ছিলেন পূর্ণাম। তার পর কিছু দিনের জন্য বাড়িতে ছুটি কাটাতে আসেন। দোলের ছুটিতে বাড়ি এসেছিলেন। এর পর ডিউটি জয়েন করেন। তখন তার পোস্টিং হয় পাঞ্জাবের পাঠানকোটে। সেখানেই ডিউটিরত অবস্থায় শারীরিকভাবে অসুস্থ বোধ হলে গাছের ছায়াতে বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। তখনই পাক রেঞ্জারসের হাতে আটক হয় পূর্নম। তারপর থেকেই তার ব্যপারে কোনও সদুত্তর মিলছে না কোনও পক্ষ থেকেই।