আরও পড়ুন: নখ দিয়ে যায় চেনা! হাতের নখেই ফাঁস আপনার রহস্য, জানলে চমকে হবেন!
একাধিক নতুন রেল লাইন প্রকল্প পরিচালনা করে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলির রূপান্তরে ভারতীয় রেলওয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছে। উত্তর পূর্বাঞ্চলের সবগুলি রাজ্যের রাজধানীর সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের জন্য ক্যাপিটাল কানেকটিভিটি প্রজেক্ট-এর অধীনে নতুন রেল লাইন নির্মাণের কাজ চলছে এবং এগুলির মধ্যে একটি হল নাগাল্যান্ডের ডিমাপুর থেকে কোহিমা পর্যন্ত একটি নতুন ব্রডগজ রেল লাইন নির্মাণ।
advertisement
আরও পড়ুন: কে বেশি বাঙালি? পিকু না রানি? দুই অবাঙালি, দীপিকা ও আলিয়ার বাঙালিত্ব নিয়ে তরজা তুঙ্গে
৮২.৫০ কিমি দৈর্ঘ্যের ডিমাপুর-কোহিমা নতুন রেল লাইন প্রকল্পটি অসমের ধনসিরি স্টেশন থেকে শুরু হয়ে কোহিমা সংলগ্ন জুবজা পর্যন্ত গিয়েছে, যার কাজ উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের নির্মাণ সংস্থার দ্বারা পরিচালনা করা হচ্ছে এবং এর আনুমানিক ব্যয় ৬,৬৬৩ কোটি টাকা। মোট ৮২.৫ কিমি (২.৭৫ কিমি অসমে এবং ৭৯.৭৫ কিমি নাগাল্যান্ডে) দৈর্ঘের এই প্রকল্পে ০৮টি নতুন স্টেশন রয়েছে, সেগুলি হল যথাক্রমে ধনসিরি, ধনসিরিপার, শখুভি, মোলভম, ফেরিমা, পিফেমা, মেঙ্গুজুমা ও জুবজা। এই প্রকল্পে ২৪টি মেজর ব্রিজ, ১৫৬টি মাইনোর ব্রিজ, ০৬টি রোড ওভার ব্রিজ, ১৫টি রোড আন্ডার ব্রিজ ও ৩১ কিমি দৈর্ঘের ২১টি সুড়ঙ্গ। ফেরিমা থেকে পিফেমা পর্যন্ত ৭ নং সুড়ঙ্গটি হল এই প্রকল্পের সবচেয়ে লম্বা সুড়ঙ্গ, যার দৈর্ঘ ৬৫২০ মিটার। সহজে চালু করার জন্য প্রকল্পটি ৩টি পর্যায়ে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ের ধনসিরি থেকে শখুভি পর্যন্ত ১৬.৫ কিমি ইতিমধ্যে ২০২১-এর অক্টোবর মাসে সম্পূর্ণ হয়েছে।
বিভিন্ন উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যের মধ্যে আন্তঃঅঞ্চল রেল সংযোগ বৃদ্ধি করতে শখুভি থেকে অরুণাচলের নাহরলগুন এবং মেঘালয়ের মেন্দিপাথার পর্যন্ত প্যাসেঞ্জার ট্রেন পরিষেবা সম্প্রতি চালু করা হয়েছে। শখুভি থেকে ফেরিমা পর্যন্ত পরবর্তী পর্যায়ের কাজ খুব শীঘ্রই সম্পূর্ণ হবে এবং জুবজা পর্যন্ত সম্পূর্ণ প্রকল্পটি ২০২৬-এর মধ্যে সম্পূর্ণ করার লক্ষ্য ধার্য করা হয়েছে। এই নতুন রেল সংযোগের ফলে দেশের অন্যান্য প্রান্ত থেকে খুব সস্তায় খাদ্য শস্য, অটোমোবাইল ও অন্যান্য পরিকাঠামোমূলক ও নির্মাণ সামগ্রী পাহাড়ি রাজ্যে পরিবহণে সহায়ক হবে এবং স্থানীয় মানুষ লাভাম্বিত হবেন। সংশ্লিষ্ট রাজ্যের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাও শক্তিশালী হবে।