গতকালই মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের শিবিরের পছন্দের স্পিকার জয়ী হন। বিজেপির বিধায়ক রাহুল নারভেকার সহজেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকার নির্বাচিত হন ১৬৪ টি ভোটে জিতে। আর সোমবারই জয়ের স্বাদে ফের ডুবলেন শিবসেনার বিদ্রোহী নেতা একনাথ শিন্ডে! গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একনাথ শিন্ডে মহারাষ্ট্রের বিংশতম মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন এবং দেবেন্দ্র ফড়নবীস উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন।
advertisement
আরও পড়ুন- সিঁড়ি থেকে পড়ে গুরুতর আহত প্রবীণ নেতা লালু প্রসাদ যাদব! ভাঙল কাঁধের হাড়
শুক্রবার, শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে "’দলবিরোধী কার্যকলাপে’ জড়িত থাকার দলীয় নেতার পদ থেকে একনাথ শিন্ডেকে সরিয়ে দিয়েছেন। শিন্ডে গোষ্ঠী অবশ্য জানিয়েছে এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করবেন তাঁরা কারণ তাঁরাই এখন ‘আসল’ সেনা।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক চাভান এবং বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা বিজয় ওয়াদেত্তিভার অবশ্য এদিন ভোট দেননি, যা ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই জল্পনা ছড়িয়েছে। উদ্ধব ঠাকরের বিধায়ক সন্তোষ বাঙ্গার আস্থা ভোটের কয়েক মিনিট আগেই একনাথ শিন্ডের শিবিরে যোগ দেন। যার ফলে শিন্ডে শিবিরে এখন মোট ৪০ জন শিবসেনা বিধায়ক রয়েছেন।
স্পিকার রাহুল নারভেকার গতরাতেই একনাথ শিন্ডেকে বিধানসভায় শিবসেনার দলের নেতা হিসাবে পুনর্বহাল করেছেন এবং ভরত গোগাওয়ালেকে শিবসেনার চিফ হুইপ হিসেবে নিয়োগের স্বীকৃতি দিয়েছেন।
আরও পড়ুন- স্পিকার নির্বাচনেও জয়ী শিন্ডে শিবির! মহারাষ্ট্রের নতুন স্পিকার রাহুল নারভেকার
গত ২০ জুন রাতে শুরু হয়েছিল একনাথ শিন্ডের বিদ্রোহ। উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠীর বিধায়ক সংখ্যা কমিয়ে কমিয়ে এমন পরিস্থিতি হয় যে প্রায় প্রতিদিনই নতুন মুখকে বিদ্রোহী শিবিরে যোগ দিতে দেখা যায়।
বুধবার যখন সুপ্রিম কোর্ট জানায় যে রাজ্যপালের নির্দেশ অনুসারে উদ্ধব ঠাকরেকে সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে, তারপরেই শীর্ষ পদ থেকে পদত্যাগ করেন উদ্ধব। তার ঠিক একদিন পরেই বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবীসের বদলে একনাথ শিন্ডেকেই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীস বিজেপির চাপের মুখে একনাথ শিন্ডের উপমুখ্যমন্ত্রী পদে যোগ দেন।