TRENDING:

অনলাইনে মারণ গেম, Blue Whale-এর ফাঁদে পড়ে প্রাণ যাচ্ছে ইয়ংজেনের

Last Updated:

নীল তিমি রহস্য। অললাইনে সুইসাইড গেম। হঠাৎই প্রকাশ্যে ভয়াবহ এই খেলা।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#নয়াদিল্লি: নীল তিমি রহস্য। অললাইনে সুইসাইড গেম। হঠাৎই প্রকাশ্যে ভয়াবহ এই খেলা। মুম্বইয়ের কিশোর মনপ্রীত সিংয়ের মৃত্যুর ঘটনার পিছনেও কী নীল তিমি রহস্য? অনলাইন গেমের হাতছানিতেই কী এই চরম সিদ্ধান্ত ১৪ বছরের কিশোরের? মনপ্রীতেরর মোবাইল এবং কম্পিউটার ঘেঁটে দেখছে পুলিশ।
advertisement

মনপ্রীত সিংহ। বয়স ১৪ । ক্লাস নাইনের ছাত্র। বহুলের ছ’তলা থেকে তাকে ঝাঁপ দিতে দেখে পুলিশে খবর দেন প্রতিবেশীরা। মুম্বই শহরতলি পূর্ব আন্ধেরির শের-এ-পঞ্জাব এলাকার এই ঘটনা আপাতভাবে আত্মহত্যার ঘটনা নে হলেও তদন্তে নেমে পুলিশের ধারণা অলনাইন গেমের হাতছানিতেই এই চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছে কিশোর।

কী এই ব্লু হোয়েল ?

    এটি একটি অনলাইন সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপ যা যুবসম্প্রদায়কে নিজেদের ক্ষতি ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়

advertisement

      ---গ্রুপের অ্যাডমিনিস্ট্রেটর প্রতিযোগীদের ৫০ দিনের চ্যালেঞ্জ দেন

      --সারাদিন গান শোনা, মাঝরাতে ভয়ের সিনেমা দেখার মতো প্রতিদিনই নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জ দেওয়া হয়

      ---সময় যত এগোয় চ্যালেঞ্জ তত কঠিন হতে থাকে

      ---হাত কেটে ব্লু হোয়েলের ছবি আঁকতে দেওয়া হয়

    advertisement

      --প্রতিদিনের কাজ শেষ করার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে হয়

          --পঞ্চাশতম দিনে প্রতিযোগীকে আত্মহত্যার নির্দেশ দেওয়া হয়

        --যাঁরা আত্মহত্যার মতো চরম পদক্ষেপ করতে ভয় পান তাদের হুমকি দেওয়া হয়, কাছের কোনও মানুষের ক্ষতি হবে

      advertisement

এ মারণ খেলার অ্যাডমিনিস্ট্রেটর কে?

---এমন একজন যে প্লেয়ার ধরার জন্য অনলাইনে ওত পেতে বসে থাকে

--কেউ গেম খেলতে রাজি হলে পর্দার আড়ালে থেকে সে খেলাটি পরিচালনা করে

--অংশগ্রহণকারীদের টাস্ক’দেয়

--কাজ শেষ হওয়ার পর একেই ছবি পাঠাতে হয়

নীল তিমি খেলায় তিমি কে? অর্থাৎ হোয়েলটা কে?

--এই খেলায় অংশগ্রহণকারীদের হোয়েল বলা হয়

advertisement

--স্বেচ্ছায় তারা এই মারণ খেলায় যোগ দেয়

--এরাই অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের দেওয়া ‘টাস্ক’ করে এবং ছবি পাঠায়

--গেমের শেষে এদেরই আত্মহত্যা করতে বলা হয়

২০১৩ সালে রাশিয়ায় শুরু হয় এই মারণ খেলা। প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে দু’বছর পর ।

কী ভাবে বিস্তার ?

২০১৩ সালে রাশিয়ায় প্রথম সূত্রপাত

২০১৫ সালে প্রথম আত্মহত্যার খবর পাওয়া যায়

গেমের এক অ্যাডমিনিস্ট্রেটর ফিলিপ বুদেইকিন রুশ আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়। তার দাবি ছিল, সমাজ সাফাই করতেই এই গেম ছড়িয়েছে সে

১৬ জন কিশোরীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ফিলিপের বিরুদ্ধে

গত মাসে মস্কোতে ব্লু হোয়েল সুইসাউড চ্যালেঞ্জের মাস্টারমাইন্ডকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ইউরোপীয় সোশ্যাল নেটওয়ার্কের হাত ধরেই ছড়িয়েছে এই গেম

গেম নিয়ে একাধিক প্রশ্ন

সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কিত এই গেমটি হাইড থাকে, তা হলে যারা এর খপ্পরে পড়েন তাঁরা কীভাবে এর সন্ধান পান ?

অনেকের দাবি, এর জন্য একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে হয়। অন্য সূত্র বলছে, কেউ গেমটি খেলতে চাইলে অ্যাডমিনিস্ট্রটরের খোঁজে ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামে #ব্লুহোয়েলচ্যালেঞ্জ, #আইঅ্যামহোয়েল লিখে পোস্ট করেন। অ্যাডমিনিস্ট্রেটর নিজেই তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন নবীন প্রজন্ম জেনেশুনে কেন এই জীবনঘাতী খেলায় জড়াচ্ছে ?

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
অনলাইনে মারণ গেম, Blue Whale-এর ফাঁদে পড়ে প্রাণ যাচ্ছে ইয়ংজেনের