মন্ত্রকের নির্দেশ পেলে এনআইএ-র সংশ্লিষ্ট বিভাগের অধীনে থাকা মামলাগুলি নথিভুক্ত করা হবে ও তদন্ত শুরু করা হবে ৷ দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ওই বিস্ফোরণ সম্পর্কিত সমস্ত প্রাসঙ্গিক তথ্য এবং নথি এজেন্সির কাছে যেন হস্তান্তর করা হয়।
বিস্ফোরণের দিন এনআইএ আধিকারিকরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছিলেন। সূত্রের খবর, দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেল এখনও পর্যন্ত রহস্যের কিনারা করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং কোনো সন্দেহভাজন ব্যক্তির হদিশও তারা দিতে পারেনি।
advertisement
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) গত সোমবার (২৯ জানুয়ারি) ইজরায়েলি দূতাবাসের কাছে ওই বোমা হামলার অপরাধীদের যথাযোগ্য শাস্তি দেওয়ার বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানইয়াহু (Benjamin Netanyahu) ।
মোদি আরও জানান, ইজরায়েলি কূটনৈতিক এবং দূতাবাসের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য ভারত অনেক বেশি গুরুত্ব দেয়। এ ব্যাপারে তিনি নেতানইয়াহুকে টেলিফোনে আশ্বস্থ করেন বলেও জানা গিয়েছে।
গত শুক্রবার ইজরায়েলি দূতাবাসের সামনে ওই বিস্ফোরণের তদন্তে নেমেছিল দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেল, ক্রাইম ব্র্যাঞ্চ ও এনআইএ। তদন্তকারীরা এখনও পর্যন্ত এই বিস্ফোরণের পিছনে কোনো সংগঠন যুক্ত কিনা তা স্পষ্ট ভাবে জানাতে না পারলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠে আসে একটি সংগঠনটির নাম।
বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করে একটি অনামী সংগঠন জইশ-উল-হিন্দ (Jaish-Ul-Hind)। যদিও তদন্তকারী সংস্থাগুলির সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘জয়শ-উল-হিন্দ’ বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করলেও তার স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ সংগ্রহ না হওয়া পর্যন্ত তারা এই দাবিকে মেনে নেওয়া হবে না। তদন্তকে বিভ্রান্ত করার লক্ষ্য নিয়েই এমন দাবি করা হচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকেই।
