আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যূত করতে উত্তরপ্রদেশের সমস্ত জেলাতেই এই ধরণের সমাবেশ করা হবে বলে ঘোষণা করা হয় কৃষক নেতাদের তরফে। এমনকী, জেলা সদরের পাশাপাশি প্রতিটি গ্রামে গিয়েও বিজেপিকে ভোট না দেওয়ার আহ্বান জানাবেন কৃষক নেতারা। ইতিমধ্যেই ২৭ সেপ্টেম্বর ভারত বনধের ডাক দিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি। কৃষকদের মহাপঞ্চায়েতে সমর্থন করেছে কংগ্রেস, সিপিএম। কংগ্রেসের তরফে সকাল থেকেই একের পর ট্যুইট করে কৃষকদের সমর্থনবার্তা দেওয়া হয়েছে।
advertisement
উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের দায়িত্বে থাকা নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধি টুইটারে লেখেন, "কৃষকরা দেশের আওয়াজ। কৃষকরা দেশের গর্ব। কৃষকদের আওয়াজের সামনে কোনও ক্ষমতার দম্ভ চলে না। কৃষি এবং তাঁদের কঠোর পরিশ্রমের অধিকার রক্ষা করতে সমস্ত দেশ কৃষকদের সঙ্গে রয়েছে।" সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, "স্বাধীন ভারত এর আগে কখনও ১০ মাস দীর্ঘ আন্দোলন দেখেনি। মোদি সরকারকে অবশ্যই কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে হবে এবং নূন্যতম সহায়কমূল্য আইনি করতে হবে। আমাদের সবার খাদ্যের জোগান দেওয়া, আমাদের সবার অন্নদাতাদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।" তবে এরইমধ্যে কষকদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে টুইট করে বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়েছেন বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধি। টুইটারে তিনি লেখেন, "আজ মুজফ্ফরনগরে বিক্ষোভ সামিল লক্ষাধিক কৃষক। তাঁরা আমাদেরই মতো রক্ত মাংসের মানুষ। সম্মানজনকভাবে তাঁদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা শুরু করতে হবে। তাঁদের যন্ত্রণা বুঝতে হবে, তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গি বুঝতে হবে এবং সাধারণ বিষয়গুলি নিয়ে তাঁদের সঙ্গে কাজ করতে হবে।"
আরও পড়ুন: ত্রিপুরাতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে BJP-র অস্ত্র 'পাচার'! গ্রেফতারের হুঁশিয়ারি বিপ্লব দেবের
মুজফ্ফরনগরে সমাবেশ হলেও, আশপাশের জেলাগুলি থেকেও বহু মানুষ যোগ দিয়েছিলেন এদিনের কিষাণ মহাপঞ্চায়েতে। হাপুর, বুলন্দশহর, আলিগড়ের মতো জেলাগুলি থেকে প্রচুর সংখ্যক কৃষক এসেছিলেন এদিনের মহাপঞ্চায়েতে। এতবড় সমাবেশ এর আগে দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন কৃষক নেতারা। মুজফ্ফরনগরের সমাবেশ থেকে হরিয়ানায় পুলিশের আঘাতে কৃষক নেতা সুশীল কাজলের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হয়। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে নয়, পুলিশি অত্যাচারেই সুশীল কাজলর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি কৃষক নেতাদের