এতদিন বিষয়টা এড়িয়েই চলছিল গেরুয়া শিবির। সবটাই ভেস্তে দিলেন ভোপালের বিজেপি প্রার্থী। নাথুরাম গডসকে নিয়ে প্রজ্ঞার মন্তব্যের পর তুমুল বিতর্ক। সাধ্বীর মন্তব্যে বিব্রত বিজেপি, আগেই ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে দাবি করেছে মহাত্মা গান্ধি একজন সম্মানীয় ব্যক্তি ৷ তাঁর ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টাকে বিজেপি সমর্থন করে না ৷
কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই নরেন্দ্র মোদির মুখে শোনা গিয়েছে মহাত্মা গান্ধির স্তুতি। এমনকি বিজেপিই মহাত্মার আদর্শ ও নীতি পথে চলেছে বলেও দাবি করেন বিজেপি নেতারা। সেই ফানুসটাই যেন ফাটিয়ে দিলেন ভোপালের বিজেপি প্রার্থী। প্রজ্ঞার মন্তব্যে বেকায়দায় বিজেপি ৷
advertisement
সপ্তম ও শেষ দফায় ভোটের আগে হাতে গরম ইস্যু হাতছাড়া করেনি বিরোধীরা। গান্ধির হত্যাকারী নিয়ে বিজেরপির অবস্থান কী? প্রশ্ন তুলে চাপ বাড়ায় কংগ্রেস। সোশাল মিডিয়াতেও তুমুল আলোড়ন। কয়েক ঘণ্টায় প্রজ্ঞাকে নিয়ে চারটি টুইটার ট্রেন্ড প্রথম দশে উঠে আসে।
লেখক তভলীন সিং বলেন, কংগ্রেসের যে ক্ষতি স্যাম পিত্রোদা করেছেন, তার থেকেও বেশি বিজেপির বেশি ক্ষতি করছেন সাধ্বী প্রজ্ঞা ৷ ওমর আবদুল্লা বলেন, গডসে যদি দেশপ্রেমিক হন, তা হলে বিজেপি কি এখন থেকে জাতির জনককে দেশদ্রোহী অ্যাখ্যা দেবে?
মুম্বই পুলিশের প্রাক্তন এটিএস প্রধান হেমন্ত কারকারে নিয়ে প্রজ্ঞার মন্তব্যে অস্বস্তিতে পড়েছিল বিজেপি। শেষ পর্যন্ত ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয় প্রজ্ঞাকে। বৃহস্পতিবারও একই ভাবে প্রজ্ঞাকে বার্তা দেয় গেরুয়া শিবির। নির্দেশ মেনে পরে মধ্যপ্রদেশ বিজেপি সভাপতির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন সাধ্বী প্রজ্ঞা। তবে দেশবাসীকে এড়িয়ে শুধু দলীয় নেতার কাছে ক্ষমা চাওয়া কেন? তার উত্তর মেলেনি।