স্বভাবতই ত্রিপুরার পঞ্চায়েত নির্বাচনের এই ফলকে হাতিয়ার করে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, ‘এরা বাংলায় কিছু হলেই বড় বড় কথা বলেন। গণতন্ত্রের কথা বলেন। এখন ত্রিপুরা রাজ্যে কী হল?’ কুণালের অভিযোগ, ভয় দেখিয়ে ত্রিপুরায় বিরোধী প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে দেয়নি বিজেপি৷ ইতিমধ্যেই ত্রিপুরায় বিজেপির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে সিপিআইএম এবং কংগ্রেসের মতো দলগুলি৷
advertisement
আরও পড়ুন: আয়করে বছরে ১৭,৫০০ টাকা কীভাবে বাঁচাবেন? কী বলছে নির্মলার নতুন হিসেব, বুঝে নিন
ত্রিপুরায় পঞ্চায়েতে গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলাপরিষদে মোট আসন সংখ্যা ৬৮৮৯ টি। এর মধ্যে বিজেপি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৪৮০৫ টি আসনে ইতিমধ্যেই জয় পেয়ে গিয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬৩৭০ টি আসনের মধ্যে বিজেপি ৪৫৫০ টি আসনে জয়ী হয়েছে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।
গ্রাম পঞ্চায়েতের বাকি ১৮১৯ টি আসনে নির্বাচন হবে ৮ অগাস্ট। যেখানে বিজেপি প্রার্থী দিয়েছে ১৮০৯টি আসনে। সিপিআইএম প্রার্থী দিয়েছে ১২২২টি আসনে, কংগ্রেস প্রার্থী দিয়েছে ৭৩টি আসনে। বিজেপির সহযোগী তিপ্রা মোথা ১৩৮টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে।
পঞ্চায়েত সমিতির ৪২৩টি আসনের মধ্যে ২৩৫ অর্থাৎ ৫৫ শতাংশ আসনে বিজেপি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে। ৮ অগাস্ট পঞ্চায়েত সমিতির ১৮৮ টি আসনে নির্বাচন হবে। এই ১৮৮ টি আসনের সবকটিতেই প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। সিপিআইএম ও কংগ্রেস যথাক্রমে ১৪৮ ও ৯৮ টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। তিপ্রা মোথা ১১ টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে।
জেলাপরিষদের ১১৬ টি আসনের মধ্যে বিজেপি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে ২০ টি আসনে। অর্থাৎ তারা প্রায় ১৭ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে।জেলা পরিষদের বাকি ৯৬ টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। সিপিআইএম এবং কংগ্রেস যথাক্রমে ৮১ ও ৭৬ টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে।
ত্রিপুরায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল ২২ জুলাই। ৮ অগাস্ট ভোটগ্রহণের পরে ১২ অগাস্ট ভোটগণনা করা হবে।
যদিও বিরোধীদের অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়ে ত্রিপুরার বিজেপি নেতাদের দাবি, ‘লোকসভা ভোটে দুই আসনে আমরা বিপুল ভোটে জিতেছি। পঞ্চায়েতে বিরোধীরা প্রার্থী খুঁজে না পেলে কী করা যাবে? মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা নির্দেশ দিয়েছিলেন, মনোনয়ন ঘিরে যেন কোনও অশান্তি না হয়। প্রশাসন তা দেখেছে। এরপরেও বিরোধীরা প্রার্থী না দিতে পারলে তাদের সাংগঠনিক ব্যর্থতা।’