ত্রিপুরা বিজেপি সূত্রের খবর, এই রথযাত্রা পরিচালনা করার জন্যে রাজ্য বিজেপির তরফে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির দায়িত্বে থাকছেন ত্রিপুরার মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। সাধারণ সম্পাদক টিঙ্কু রায় ও অমিত রক্ষিতকে করা হয়েছে রথযাত্রা পরিচালনার কো-ইনচার্জ।
আরও পড়ুন: সহযোগিতা করবে বর্ধমান মেডিক্যাল, রেণু খাতুনের হাত প্রতিস্থাপনের জন্য অর্থ বরাদ্দ জেলা পরিষদের
advertisement
জানা গিয়েছে, ত্রিপুরার দু'দিক থেকে যাত্রা শুরু হবে এই যাত্রা। একটি রথ বেরবে উত্তর ত্রিপুরা থেকে, অন্যটি দক্ষিণ ত্রিপুরা থেকে। উত্তর ত্রিপুরা থেকে যে রথ বের হবে, তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অমিত রক্ষিত, তাপস ভট্টাচার্য, শম্ভুলাল চাকমা এবং যাদবলাল নাথকে৷ দক্ষিণ ত্রিপুরার রথের দায়িত্বে থাকছেন টিঙ্কু রায়, প্রমোদ রিয়াং, বিভীষণ দাস ও তাপস মজুমদার।
এদিন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা বলেন, "ভারতীয় জনতা পার্টি খুন, সন্ত্রাসের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। কোনও দুর্নীতি, কেলেঙ্কারিতে আস্থা রাখে না। জনগণের কল্যাণে কাজ করতে বিশ্বাস করে।" এরপরেই প্রাক্তন শাসকদলের উদ্দেশ্যে তাঁর তোপ, "নিজেদের শাসনকালে ত্রিপুরাকে খুন, সন্ত্রাস, রাহাজানি উপহার দিয়েছিল কমিউনিস্ট পার্টির সরকার।" মানিক সাহার দাবি, এখনও বিভিন্ন জায়গায় লাল-সন্ত্রাস চালানোর চেষ্টা চলছে, ৯৩-এর কায়দায় সরকার গড়ার ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
২০১৮ সালের ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট সরকারের ২৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটিয়ে ত্রিপুরাতে সরকার গড়ে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয় বিপ্লব দেবকে। কিন্তু ২০২২ এর ১৪ মে, বিধানসভা নির্বাচনের প্রায় এক বছর আগেই ত্রিপুরা সরকারে বড়সড় রদবদল আনে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বিপ্লব দেবকে সরিয়ে ২০২২ সালের ১৪ মে মানিক সাহাকে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে নিয়ে আসা হয়। আগামী ফেব্রুয়ারিতেই ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন।