বিজেপির অভিযোগ, বিগত সরকারের আমলে এটি একটি কাঁচা রাস্তা ছিল। বিশেষ করে বর্ষাকালে এই সড়কপথে চলাচল করা দুঃসাধ্য ব্যাপার ছিল। দুর্বিষহ সে অবস্থা থেকে স্থানীয় মানুষকে মুক্তি দিতে এগিয়ে এসেছে বর্তমান সরকার। নির্মাণ করা হল উন্নত প্রযুক্তির সড়কপথ। এই রাস্তা তৈরি হওয়ায় আনন্দনগর উড়িয়া পাড়ার ৫০০ পরিবার উপকৃত হবে। সড়কপথের নতুন ওই অংশের নামকরণ করা হয়েছে -অটল বিহারী বাজপেয়ী সরণী। মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. মানিক সাহা রাস্তাটি উদ্বোধন করেন। উপস্থিত ছিলেন জেল মন্ত্রী শ্রী রামপ্রসাদ পাল। রাস্তা উদ্বোধনে এসে মুখ্যমন্ত্রী মাণিক সাহা জানিয়েছেন, রাস্তা মানুষকে রাস্তা দেখায়। শুধু চলাচলের জন্যই নয় নতুন দিশা ও দিগন্ত উন্মোচনেও একটি রাস্তার ভূমিকা অনস্বীকার্য। ওই রাস্তা যানবাহন এবং স্থানীয় মানুষের চলাচলের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা দূর করবে। রাস্তাগুলো প্রশস্ত করা, কাঁচা রাস্তাগুলোকে পাঁকা করা, মেরামত কিংবা রক্ষণাবেক্ষণের কাজ নিরবিচ্ছিন্নভাবেই হয়ে চলেছে রাজ্যে।
advertisement
আরও পড়ুন: 'আসল কথা বার করে ছাড়বেই', দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে তোলপাড়! রেয়াত নয় কাউকে
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, "কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। সবকা সাথ সবকা বিকাশ- এই মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। বিগত সরকারের আমলে রাজ্যে উন্নয়ন উপেক্ষিত হয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি,বিদুৎ প্রতিটি ক্ষেত্রেই পিছিয়ে ছিল রাজ্য। শিল্প ছিল তবে সেটা হল বাক শিল্প। কথার চাতুর্যে মানুষকে ভুলিয়ে বোকা বানানোর কাজে সিদ্ধহস্ত ছিল বিগত সরকারের নেতা মন্ত্রীরা। দুর্নীতি,স্বজনপোষণ এবং নোংরা রাজনীতি এই সরকারের আমলে প্রত্যক্ষ করেছে রাজ্যবাসী। কিন্তু রাজ্যের বর্তমান বিজেপি সরকার এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরার লক্ষ্যকে সামনে রেখে কাজ করে চলেছে। এই সরকার সাম্য রক্ষা ও ক্ষমতায়নে বিশ্বাসী। সকল শ্রেণীর মানুষের উন্নয়নে কাজ করছে বর্তমান সরকার।"
আরও পড়ুন: ফের শহরে ইডির হানা, এবার সেক্টর ফাইভে ব্যবসায়ীর আবাসনে অভিযান
যদিও বিরোধীরা লাগাতার অভিযোগ করছে রাজ্যে বিদ্যুৎ নেই,জল নেই, আবাস নেই, শিক্ষা নেই ,স্বাস্থ্য নেই ইত্যাদি। মুখ্যমন্ত্রী এই প্রসঙ্গে বলেন তাদের চোখে ছানি পড়েছে। তাই তারা দেখতে পারছে না অথবা না দেখার ভান করছে। আয়ুষ্মান ভারত, স্বাস্থ্য সাথী মিশন, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা সহ কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের অধীনে রাজ্যের বহু মানুষ এখন পর্যন্ত উপকৃত হয়েছেন। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতিও যথেষ্ঠ ভালো। বিরোধীরাই বিভিন্ন জায়গায় গন্ডগোল পাকিয়ে শাসক দলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনার চেষ্টা করছে। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন বর্তমান সরকারের আমলে রাজ্যে একটিও রাজনৈতিক খুনের নজির নেই। কিন্তু বিগত সরকারের আমলে এমন বহু খুনের ঘটনা ঘটেছে। তিনি অনেক জায়গায় কোন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে গেলে প্রথমেই তাকে শহীদ বেদীতে মাল্যদান করতে বলা হয়। এর থেকেই প্রমান হয় রাজ্যে কী পরিমান খুনের ঘটনা বিগত সরকারের আমলে ঘটেছে।
এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী ন্যাশনাল ক্রাইম ব্যুরোর সাম্প্রতিক রিপোর্ট এর কথা উল্লেখ করেন তাতে ত্রিপুরাকে অপরাধের নিরীখে নিম্ন পাঁচ রাজ্যের মধ্যে রাখা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন সব জায়গায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সরকার কিংবা প্রশাসন সময়মতো পৌঁছে দিতে পারবে এমন কোন কথা নেই। এই কাজে স্থানীয় ক্লাবগুলোকে আরো সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা।