২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ইভিএম কারচুপির অভিযোগ তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে রবিশঙ্কর বলেন, ‘ইভিএম হ্যাকিং প্রমাণ হয়নি ৷ কংগ্রেসের অভিযোগ ভিত্তি নেই ৷ মিথ্যে অভিযোগ করে দেশবাসীকে অপমান করছে কংগ্রেস ৷’
একইসঙ্গে রবিশঙ্কর বলেন, কংগ্রেস জিতলে ইভিএম ঠিক থাকে ৷ মায়াবতী জিতলে ইভিএম ঠিক থাকে ৷ মমতা জিতলেও ইভিএম ঠিক থাকে ৷ বিজেপি জিতলেই ইভিএমে কারচুপি ? কংগ্রেসের এই অভিযোগ হাস্যকর বলে দাবি করেন রবিশঙ্কর ৷
advertisement
২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে ইভিএমে কারচুপি হয়েছে ৷ যা নিয়ে সেই বছরই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বিএসপি ৷ কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের রায় দেশের শাসক দলের পক্ষেই গিয়েছিল ৷ সেই বিষয়টি নিয়েও সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ খোলেন রবিশঙ্কর ৷
লোকসভা ভোটের মুখে লন্ডনে বসে বিস্ফোরক দাবি বেতার তরঙ্গ বিশেষজ্ঞ সইদ সুজার। তাঁর দাবি, ট্রান্সমিটার ব্যবহার করে ইভিএম হ্যাক করা যায়। ২০১৪ সালে তাই করা হয়েছিল। মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাতের বিধানসভা ভোটেও ইভিএম হ্যাক করা হয় বলে দাবি। এই হ্যাকিংয়ের কথা জেনে সরকারের মুখোশ খুলে দিতে চেয়েছিলেন বলেই বিজেপি নেতা গোপীনাথ মুণ্ডেকে খুনও করা হয়। চাঞ্চল্যকর দাবি করেন বেতার তরঙ্গ বিশেষজ্ঞ সুজা ৷
প্রসঙ্গত, সৈয়দ সুজার সোমবারের বিতর্কিত সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী কপিল সিবাল ৷ সেটি নিয়েও প্রশ্ন তুললেন রবিশঙ্কর ৷ তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রকে লজ্জায় ফেলার ষড়যন্ত্র এটি ৷ কংগ্রেসের মুখোশ খুলে গেল ৷ কপিল সিব্বাল সেখানে কি করছিলেন ?’ এই প্রসঙ্গে অভিষেক মনু সিংভি জানান, ব্যক্তিগত কারণেই ওখানে গিয়েছিলেন ৷ এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই ৷ যদিও সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি ৷ রবিশঙ্কর দাবি করেন, ‘গোটা ঘটনার রূপকার কপিল সিবল ৷’