প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইটারে লেখেন, "শ্রীমতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলাম। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ তাঁর রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। সমাজের একবারে তৃণমূলস্তরের সমস্যা বুঝতে পারা এবং ভারতের উন্নয়নের জন্য তাঁর দুরদৃষ্টি অসাধারণ।" উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু টুইটারে লিখেছেন, "ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন রাজ্যপাল এবং এনডিএ এর রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী শ্রীমতি দ্রৌপদী মুর্মু উপরাষ্ট্রপতিভবনে এসে উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন।" আদিবাসী নেত্রী থেকে রাজ্যপাল হওয়া দ্রৌপদী জানিয়েছেন, টেলিভিশন মারফত তাঁর রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হওয়ার খবর জানতে পেরে তিনি অবাক এবং আনন্দিত! “আমি যেমন বিস্মিত, তেমনই আনন্দিত। প্রত্যন্ত ময়ূরভঞ্জ জেলার একজন উপজাতীয় মহিলা হিসাবে আমি দেশের শীর্ষ পদের প্রার্থী হওয়ার কথা ভাবিওনি,"। তিনি জানান রাষ্ট্রপতি পদের জন্য একজন উপজাতীয় মহিলাকে মনোনীত করার যে সিদ্ধান্ত বিজেপি নিয়েছে তা ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস’ স্লোগানেরই প্রতিফলন।
advertisement
আরও পড়ুন: ২৩ সেকেন্ডের কথোপকথন! বগটুই কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে
আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তিনি রাজ্যের ক্ষমতাসীন বিজেডির সমর্থন পাবেন কিনা জিজ্ঞাসা করা হলে দ্রৌপদী মুর্মু বলেন, “আমি ওড়িশা বিধানসভার সমস্ত সদস্য এবং সাংসদদের সমর্থন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।” দ্রৌপদী আরও বলেন, “আমি মাটির মেয়ে। একজন ওড়িয়া হিসাবে আমাকে সমর্থন করার জন্য সকল সদস্যকে অনুরোধ করার অধিকার আমার আছে।”
আরও পড়ুন: শ্বশুরবাড়িতে আগুন ধরিয়ে নিজেকেও জ্বালিয়ে দিল জামাই! কাটোয়ায় এ কী হাড়হিম ঘটনা
সাঁওতাল সম্প্রদায়ে জন্মগ্রহণকারী দ্রৌপদী মুর্মু ১৯৯৭ সালে রায়রাংপুর নগর পঞ্চায়েতের কাউন্সিলর হিসাবে নিজের রাজনৈতিক কর্মজীবন শুরু করেন এবং ২০০০ সালে বিজেডি-বিজেপি সরকারের মন্ত্রী এবং পরে ২০১৫ সালে ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল নির্বাচিত হন। রায়রাংপুরের প্রাক্তন বিধায়ক দ্রৌপদী মুর্মু বলেন, “আমি এই সুযোগ আশা করিনি। প্রতিবেশী ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল হওয়ার পর আমি ছয় বছরের বেশি কোনও রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিইনি। আশা করি সবাই আমাকে সমর্থন করবেন।”