পরিস্থিতি শান্ত হয়েছে ভেবে পুলিস বিধায়ককে দোকান থেকে বের করতে গেলেই ফের একদল কৃষক তাঁর উপর চড়াও হয়। সেই বিধায়ককে বেধড়ক মারধর করতে শুরু করেন তাঁরা। কিল, চড়, ঘুঁষি কিছুই বাকি ছিল না। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেয়ে যায় পুলিশ। বিধায়ককে কোনওরকমে উত্তেজিত কৃষকদের হাত থেকে উদ্ধার করে পুলিস। কিন্তু ততক্ষণে কৃষকরা সেই বিধায়কের জামা-কাপড় ছিঁড়ে দেন। বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে যাওয়ার পথে এভাবে হেনস্থা হওয়ায় হতভম্ব হয়ে যান সই বিধায়ক। তিনি দাবি করেছেন, আগে থেকে পরিকল্পনা করেই তাঁর উপর হামলা হয়েছে। এদিন তাঁকে খুনের চক্রান্ত করেছিলেন উত্তেজিত কৃষকরা। এমনও দাবি করেছেন বিজেপির বিধায়ক অরুণ নারাং।
advertisement
পুলিস ও কৃষকদের মধ্যে এদিন ধস্তাধস্তিও হয়। এমনকী যে দোকানে অরুণ নারাংকে লুকিয়ে রেখেছিল পুলিস সেটিও ভাঙচুর করে উত্তেজিত জনতা। তার পর বিধায়ককে তাড়া করে মারধর করেন তাঁরা। পুলিসের তরফে জানানো হয়েছে, বিধায়ক যাতে কৃষি বিলের সমর্থনে সাংবাদিক বৈঠক করতে না পারেন তাই এদিন কৃষকরা তাঁর উপর চড়াও হয়েছিলেন। সেই বিধায়ক এখনও পুলিসের কাছে কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি। তবে পুলিস আন্দোলনকারী কৃষকদের বিরুদ্ধে ৩০৭ ধারায় (খুনের চেষ্টা) মামলা দায়ের করেছে। গোটা ঘটনার ভিডিয়ো ফুটেজ ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।