হিমাচল প্রদেশের বিধানসভার ৬৮টি আসনের মধ্যে কংগ্রেসের হাতে ছিল ৪০ জন বিধায়ক৷ এছাড়াও তিন নির্দল বিধায়কও কংগ্রেসের পক্ষে ছিলেন এতদিন৷ সেখানে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ছিল ৬৮৷ ফলে রাজ্য থেকে একমাত্র যে রাজ্যসভার আসনটি ছিল তাতে কংগ্রেসের জয় নিশ্চিত ছিল৷
আরও পড়ুন: কাঁথি, তমলুকে এবার অধিকারী পরিবার থেকে প্রার্থী কে? বড় চমক দিতে পারে তৃণমূলও
advertisement
কিন্তু ভোটের ফল বেরোতে দেখা যায় কংগ্রেসের অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি এবং বিজেপির হর্ষ মহাজন দু জনেই ৩৪টি করে ভোট পেয়েছেন৷ পরে জানা যায়, কংগ্রেসের ছয় বিধায়ক এবং তিন জন নির্দল বিধায়ক বিজেপি প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন৷ শেষ পর্যন্ত প্রাপ্ত ভোট সমান হওয়ায় টস করা হয়৷ তাতে হেরে যান কংগ্রেস প্রার্থী সিঙ্ঘভি৷
এই ফল সামনে আসতেই হিমাচল দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিজেপি৷ দলের রাজ্য সভাপতি এবং হিমাচলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুরের দাবি, ভোটের ফলেই প্রমাণিত সুখবিন্দর সিং সুখুর সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে৷ ফলে অবিলম্বে আস্থা ভোট করে নিজেদের শক্তির পরীক্ষা দিক কংগ্রেসের সরকার৷
বিপদ বুঝে সরকার বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে কংগ্রেসও৷ বিদ্রোহী ছয় বিধায়কের বিধায়ক পদ খারিজের জন্যও তারা বিধানসভার স্পিকারের কাছে দাবি জানিয়েছে৷
সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরেই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সুখবিন্দর সিং সুখুকে সরানোর জন্য বিধায়কদের একাংশ দাবি জানিয়ে আসছিল৷ ওয়াকিবহল মহলের মতে, সেই ক্ষোভ এমন জায়গায় পৌঁছেছিল যে এই ঘটনা প্রত্যাশিতই ছিল৷ সরকার বাঁচাতে দুই নেতা ডি কে শিবকুমার এবং ভূপেন্দ্র সিং হুডাকে সিমলায় পাঠিয়েছে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড{ লোকসভা নির্বাচনের আগে শেষ পর্যন্ত কংগ্রেস হিমাচলে নিজেদের সরকার বাঁচাতে পারে কি না, সেটাই এখন দেখার৷