তারমধ্যেই বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বলে বসেন, অগ্নিপথ প্রকল্পে নিয়োগের চার বছর পর তাঁদের বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে তাঁদের নিরাপত্তারক্ষীর কাজে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তাঁদের এই মন্তব্যের প্রতিবাদ শুরু হয়েছে নেটমাধ্যমে। নেটাগরিকদের মন্তব্য, আসলে অগ্নিবীরদের নিয়ে এমনই পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের।
আরও পড়ুন: অগ্নিপথের বিরোধিতা করে ভারত বনধের ডাক, রাজ্যের তরফে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ
advertisement
আজ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী এবং আম আদমি পার্টি সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল কৈলাশ বিজয়বর্গীর এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি ট্যুইটারে লেখেন, "যুবক এবং সেনা জওয়ানদের অসম্মান করবেন না। সেনাবাহিনীর চাকরি পেতে শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষায় পাশ করতে দিনরাত এক করে পরিশ্রম করেন তাঁরা, বিজেপি কার্যালয়ে নিরাপত্তারক্ষীর কাজের জন্য নয়।"
এই মন্তব্যের মধ্য দিয়ে বিজেপি নেতা দেশের সেনাবাহিনীতে কর্মপ্রার্থীদের অপমান করেছেন বলে দাবি কেজরওয়ালের। অন্যদিকে, কংগ্রেস নেত্রী এবং মুখপাত্র ডঃ শামা মহম্মদও ট্যুইট করে কৈলাশ বিজয়বর্গী এবং জি কিষাণ রেড্ডির মন্তব্যের প্রতিবাদ করেছেন। তিনি ট্যুইটারে লেখেন, "কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেছেন, অগ্নিবীরদের গাড়ির চালক, বিদ্যুৎ কর্মী অর্থাৎ ইলেকট্রিসিয়ান, নাপিত, ইত্যাদির প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ফলে চারবছর পর তাঁরা স্বনির্ভর হতে পারবেন। প্রতিরক্ষা বাহিনীতে চাকরিপ্রার্থীদের বিজেপির এটাই পরিকল্পনা। এটা প্রত্যেক সেনা জওয়ানের অপমান।"
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আজ প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এর সঙ্গে বৈঠকের পর লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল পুরি বলেন, "অগ্নিপথ (Agneepath) প্রকল্প প্রত্যাহার করা হবে না। কেনই বা এই প্রকল্প প্রত্যাহার করতে হবে?" তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ভাইস অ্যাডমিরাল দীনেশ ত্রিপাঠি এবং এয়ার মার্শাল এসকে ঝা।