এদিন ভোটের ট্রেন্ড অধীররঞ্জন বলেন, ‘নিজের ভোট বাঁচাতে জেডিইউ-র আসন কমাতে চেষ্টার কোনও ত্রুটি করেনি ৷ চিরাগ পাসোয়ান ও তার দল এলজেপি-কে ব্যবহার করে জেডিইউকে দুর্বল করেছে বিজেপি ৷ ওয়াইসিকেও মুসলিম ভোট কাটাতে ব্যবহার করেছে বিজেপি ৷ ধর্মনিরেপক্ষ ভোট কমুক এটাই চেয়েছিল বিজেপি ৷ মুখে বললেও মনে চাইনি তারা নীতীশ কুমারকে তাই তাকে সরাতে জেডিইউকে দুর্বল করার এই তাস খেলে বিজেপি ৷’
advertisement
অধীরের মতে, দুটি তাস খেলেছে বিজেপি ৷ ব্র্যান্ড নীতীশের ভোট কাটাতে ও তাকে দুর্বল করতে গোপন তাস হিসেবে চিরাগ পাসোয়ান ও ওয়াইসিকে ব্যবহার করেছে বিজেপি ৷ নীতীশের মুসলিম ভোটব্যাঙ্ক কাড়তেই মাঠে নামানো হয়েছিল AIMIM-এ আসাদউদ্দিন ওয়াইসিকে ৷ জোটের বড় শরিক নীতীশের জেডিইউ পিছিয়ে পড়লে একক বৃহত্তম দলের দৌড়ে এগিয়ে যাবে বিজেপি, এটাই ছিল পরিকল্পনা ৷
একইসঙ্গে কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরি বলেন,‘বিরোধীরা একত্রিত হলে কী হতে পারে তার জ্বলন্ত উদাহরণ বিহার ভোট ৷ মসনদের যুদ্ধে টিকে থাকলেও আসলে নৈতিক পরাজয় হয়েছে এই দলের ৷ লালুপ্রসাদ ভোটের ময়দানে নেই ৷ অথচ একজন ৩১ বছরের ছেলের নেতৃত্বে কংগ্রেস, বাম দল সহ সমস্ত বিরোধী দল ও ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি একত্রিত হলেই যে বিজেপিকে পরাস্ত করা সম্ভব তা দেখিয়ে দিল বিহার ৷ ধর্মনিরপেক্ষ সব দলগুলি একজোট হলে যে বিজেপির পতন আসন্ন তার জ্বলন্ত উদাহরণ এই ভোট ৷’
ভোট শেয়ার নিয়ে বড়াই করা বিজেপিকে বিঁধতে ছাড়েননি অধীর ৷ বলেন, ‘ লোকসভা নির্বাচনে পাওয়া ভোট শেয়ার নিয়ে এত গলা ফাটায় বিজেপি, লোকসভায় তো মোট ভোটের মাত্র ৩৯ শতাংশ পেয়েছিল বিজেপি ৷’
শুধু অধীর নয়, পটনার মাটিতে বিজেপির টিকে থাকার পিছনে চিরাগ পাসোয়ান ও আসাদউদ্দিন ওয়াইসির ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও ৷ যে স্ট্র্যাটেজিতে সীতা রাজ্য জয়ের পথে বিজেপি, তা এবার পশ্চিমবঙ্গের মাটিকেও ব্যবহার করা হতে পারে বলে অনুমান রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ৷